TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহার (Bihar) বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রচারের মূল হাতিয়ার ছিল ‘ভ্যাকসিন’ (Vaccine)। দলের শীর্ষনেতৃত্ব থেকে প্রার্থী, বিহারবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিনামূল্যে প্রত্যেককে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বিহার ভোটের পর মাসও ঘোরেনি। এরইমধ্যে ভ্যাকসিন (Vaccine) নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
করোনা (Corona) আবহে মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই ডিজিটাল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভ্যাকসিন কবে আসবে তা গবেষক ছাড়া আর কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এদিন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, “ভ্যাকসিন (Vaccine) আসার আগে কেউ কেউ রাজনাীতি করছেন।” তবে ভ্যাকসিন যেদিনই আসুক না কেন তা বণ্টনের ক্ষেত্রে দ্রুততা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে বলেই এদিন নরেন্দ্র মোদী জানান।
মোদী বলেন, “ভারত যে ভ্যাকসিন (Vaccine)-ই আনুক না কেন তা যেন দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ হয় এবং বিজ্ঞানসম্মত হয় সেটাই মূল কথা।” একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রতিটা মানুষ যাতে কোভিড-১৯’র টিকা পান সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য রাজ্যগুলির যা করা দরকার তা করতে হবে।
ভারতের যে রাজ্যগুলিতে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগের মূলত তেমনই আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার পাশাপাশি হরিয়ানা, গুজরাত, কেরল, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন এই ভার্চুয়াল বৈঠকে। প্রত্য়েকটি রাজ্যকে ‘টেস্টিং, কনফারমেশন, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, ডাটা’ অত্য়ন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দুধের সরে ফুটে উঠল প্রীতিলতা, লক্ষ্মীবাঈ, ক্ষুদিরামের মুখ
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৭৫ জন। আগের দিনের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু হারও কিছুটা কমেছে। এদিন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন, “বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ভ্যাকসিন কবে আসবে আমরা ঠিক করতে পারি না। এটা বিজ্ঞানীরা ঠিক করবেন। অনেকেই ভ্যাকসিন আসার আগে রাজনীতি করছেন। কোনও কিছুই তাদের রাজনীতি করা থেকে আটকাতে পারবে না।” যদিও এই ‘ভ্যাকসিন রাজনীতি’তে কারও নাম বলেননি প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই ভ্যাকসিন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।
তবে সুস্থতার হার ভারতে যে ভালই এদিন সে কথাও বলেন তিনি। সকলে একত্রিত হয়ে এই লড়াই লড়ছে বলেই অন্যান্য দেশের তুলনায় এ দেশ অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে। তবে সুস্থতার হার দেখে কেউ যদি মনে করেন, কোভিড-১৯ দুর্বল হয়ে গিয়েছে, ভুল করবে। ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে। একইসঙ্গে সকলের উচিৎ সচেতনতার দিকটাও মাথায় রাখা।