চেন্নাই: সোমবার (৪ মার্চ ), তামিলনাড়ুর কলপক্কমে এক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চেন্নাই থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের প্রথম দেশিয়ভাবে তৈরি ‘প্রোটোটাইপ ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টর’ বা ‘পিএফবিআর’ (Prototype Fast Breeder Reactor)। এদিন, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই রিঅ্যাক্টরের ‘কোর লোডিং’ শুরু হল। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এই পারমাণবিক চুল্লিটি তৈরি করেছে ‘ভারতীয় নাভিকিয়া বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড’ বা ‘ভাবিনি’ (BHAVINI)। প্রথম দেশিয় ফাস্ট ব্রিডার চুল্লিতে কোর লোডিং শুরু হওয়ায়, ভারতের তিন-পর্যায়ের পারমাণবিক কর্মসূচি, তার দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করল। কাজেই, এই ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এদিন পারমাণবিক চুল্লিটি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। প্রধানমন্ত্রী এদিন চুল্লির ভল্ট এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘুরে দেখেন। তাঁকে এই চুল্লির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে জানানো হয়। ২০০৩ সালে, ভারতীয় নাভিকিয়া বিদ্যুত নিগম লিমিটেডকে, এই উন্নত মানের পারমাণবিক চুল্লি, প্রোটোটাইপ ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টর নির্মাণ ও পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছিল ভারত সরকার। পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্প, মোদী সরকারের আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এমএসএমই-সহ ২০০টিরও বেশি ভারতীয় শিল্প সংস্থার এই চুল্লি নির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। পিএফবিআর-এর নকশা ও নির্মাণ – দুইই একেবারে দেশীয়ভাবে করেছে ভাবিনি। একবার কাজ শুরু করে দিলে, রাশিয়ার পর ভারতই হবে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টরওয়ালা দ্বিতীয় দেশ।
চুল্লিটির কোরে রয়েছে কন্ট্রোল সাব-অ্যাসেম্বলি, ব্ল্যাঙ্কেট সাব-অ্যাসেম্বলি এবং ফুয়েল সাব-অ্যাসেম্বলি। কোর লোডিংয়ের সময়, প্রথমে চুল্লিতে কন্ট্রোল সাব-অ্যাসেম্বলি লোড করা হয়। তারপরে ব্ল্যাঙ্কেট সাব-অ্যাসেম্বলি এবং ফুয়েল সাব-অ্যাসেম্বলি লোড করা হয়। এর থেকেই শক্তি উৎপন্ন হয়। ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টর, প্রাথমিকভাবে ইউরেনিয়াম-প্লুটোনিয়াম মিক্সড অক্সাইডকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে। ব্ল্যাঙ্কেট সাব-অ্যাসেম্বলির চারপাশে আরও জ্বালানী উত্পাদন করতে পারমাণবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে ইউরেনিয়াম-২৩৮। ট্রান্সমিউটেশনের মাধ্যমে, থোরিয়াম ফিসাইল ইউরেনিয়াম-২৩৩ তৈরি করা হবে, যা তৃতীয় পর্যায়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। নিরাপত্তার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এমন এক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং নিরাপদে প্ল্যান্টটি বন্ধ করে দেবে।
চেন্নাই: সোমবার (৪ মার্চ ), তামিলনাড়ুর কলপক্কমে এক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চেন্নাই থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের প্রথম দেশিয়ভাবে তৈরি ‘প্রোটোটাইপ ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টর’ বা ‘পিএফবিআর’ (Prototype Fast Breeder Reactor)। এদিন, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই রিঅ্যাক্টরের ‘কোর লোডিং’ শুরু হল। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এই পারমাণবিক চুল্লিটি তৈরি করেছে ‘ভারতীয় নাভিকিয়া বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড’ বা ‘ভাবিনি’ (BHAVINI)। প্রথম দেশিয় ফাস্ট ব্রিডার চুল্লিতে কোর লোডিং শুরু হওয়ায়, ভারতের তিন-পর্যায়ের পারমাণবিক কর্মসূচি, তার দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করল। কাজেই, এই ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এদিন পারমাণবিক চুল্লিটি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। প্রধানমন্ত্রী এদিন চুল্লির ভল্ট এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘুরে দেখেন। তাঁকে এই চুল্লির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে জানানো হয়। ২০০৩ সালে, ভারতীয় নাভিকিয়া বিদ্যুত নিগম লিমিটেডকে, এই উন্নত মানের পারমাণবিক চুল্লি, প্রোটোটাইপ ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টর নির্মাণ ও পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছিল ভারত সরকার। পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্প, মোদী সরকারের আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এমএসএমই-সহ ২০০টিরও বেশি ভারতীয় শিল্প সংস্থার এই চুল্লি নির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। পিএফবিআর-এর নকশা ও নির্মাণ – দুইই একেবারে দেশীয়ভাবে করেছে ভাবিনি। একবার কাজ শুরু করে দিলে, রাশিয়ার পর ভারতই হবে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টরওয়ালা দ্বিতীয় দেশ।
চুল্লিটির কোরে রয়েছে কন্ট্রোল সাব-অ্যাসেম্বলি, ব্ল্যাঙ্কেট সাব-অ্যাসেম্বলি এবং ফুয়েল সাব-অ্যাসেম্বলি। কোর লোডিংয়ের সময়, প্রথমে চুল্লিতে কন্ট্রোল সাব-অ্যাসেম্বলি লোড করা হয়। তারপরে ব্ল্যাঙ্কেট সাব-অ্যাসেম্বলি এবং ফুয়েল সাব-অ্যাসেম্বলি লোড করা হয়। এর থেকেই শক্তি উৎপন্ন হয়। ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টর, প্রাথমিকভাবে ইউরেনিয়াম-প্লুটোনিয়াম মিক্সড অক্সাইডকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে। ব্ল্যাঙ্কেট সাব-অ্যাসেম্বলির চারপাশে আরও জ্বালানী উত্পাদন করতে পারমাণবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে ইউরেনিয়াম-২৩৮। ট্রান্সমিউটেশনের মাধ্যমে, থোরিয়াম ফিসাইল ইউরেনিয়াম-২৩৩ তৈরি করা হবে, যা তৃতীয় পর্যায়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। নিরাপত্তার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এমন এক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং নিরাপদে প্ল্যান্টটি বন্ধ করে দেবে।