Mohan Bhagwat: হিন্দু আদর্শের পরিপন্থী, ধর্ম সংসদ বিতর্কে মুখ খুলেছেন আরএসএস প্রধান

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 09, 2022 | 7:47 PM

Mohan Bhagwat: গত বছরের ডিসেম্বরে একটি ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত হয়েছিল হরিদ্বারে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে পরে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টেও।

Follow Us

নয়া দিল্লি : হরিদ্বারের ধর্ম সভায় উপস্থিত সাধু-সন্তদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে সেই বিতর্কে ইতি টেনে আরএসএস মোহন ভগবত দাবি করেছেন, সভার ওই সব মন্তব্য প্রকৃত হিন্দু ধর্মের আদর্শ প্রকাশ করে না। ওই সব মন্তব্যে যে আরএসএসের সায় নেই, সে কথাই কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ধর্ম সংসদে যা কিছু বলা হয়েছে, তা হিন্দু ধর্মের কথা নয়। হিন্দু ধর্মের কাজ বা মানসিকতাও নয়। কিছুদিন আগেই নাগপুরে এক সংবাদপত্রের তরফে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। ‘হিন্দুত্ব ও জাতীয় সংহতি’ নিয়ে আলোচনা হয় সেই সেমিনারে। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ম সংসদে যে সব কথা বলা হয়েছে সেগুলি কখনই হিন্দু শব্দ বা হিন্দু কাজ নয়।’

তিনি ওই অনুষ্ঠানে আরও বলেন, ‘হিন্দুদের মনে এই ধরনের কোনও ধারণা থাকতে পারে না।’ আরএসএস বা যারা হিন্দুত্বের অনুসারী তারা এ জাতীয় শব্দে বিশ্বাস করে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে ভগবত বীর সাভারকরের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বীর সাভারকর বলেছিলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা যদি একত্রিত ও সংগঠিত হয় তাহলে তাঁরা ভগবৎ গীতা নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু কাউকে হত্যা করা বা শেষ করে দেওয়ার কথা কখনই বলবেন না।’

উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের সভায় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যে বিতর্ক গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি এনভি রামণ, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে  শুনানি হয় সেই মামলার। সাংবাদিক কুরবান আলি ও পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অঞ্জনা প্রকাশের করা মামলার শুনানি ছিল বুধবার।

কী সেই বিতর্ক?

গত বছরের শেষের দিকে, ১৭ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ডে সেই ধর্ম সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একাধিক ধর্মসংগঠনের পক্ষ থেকে অনেক প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। ধর্ম সংসদের সেই সভায় ধর্মীয় সংগঠন গুলির প্রতিনিধিদের মুখে একের পর এক বিতর্কিত এবং উস্কানি মূলক বক্তব্য শোনা যায়। বিশেষত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তাঁদেরর বিরুদ্ধে। তবে পুরো সভাই হয়েছিল রুদ্ধদ্বার, সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না। কেবল মাত্র আমন্ত্রিতরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় ওই ধর্মসভার ভিডিয়ো। সেখান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

নয়া দিল্লি : হরিদ্বারের ধর্ম সভায় উপস্থিত সাধু-সন্তদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে সেই বিতর্কে ইতি টেনে আরএসএস মোহন ভগবত দাবি করেছেন, সভার ওই সব মন্তব্য প্রকৃত হিন্দু ধর্মের আদর্শ প্রকাশ করে না। ওই সব মন্তব্যে যে আরএসএসের সায় নেই, সে কথাই কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ধর্ম সংসদে যা কিছু বলা হয়েছে, তা হিন্দু ধর্মের কথা নয়। হিন্দু ধর্মের কাজ বা মানসিকতাও নয়। কিছুদিন আগেই নাগপুরে এক সংবাদপত্রের তরফে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। ‘হিন্দুত্ব ও জাতীয় সংহতি’ নিয়ে আলোচনা হয় সেই সেমিনারে। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ম সংসদে যে সব কথা বলা হয়েছে সেগুলি কখনই হিন্দু শব্দ বা হিন্দু কাজ নয়।’

তিনি ওই অনুষ্ঠানে আরও বলেন, ‘হিন্দুদের মনে এই ধরনের কোনও ধারণা থাকতে পারে না।’ আরএসএস বা যারা হিন্দুত্বের অনুসারী তারা এ জাতীয় শব্দে বিশ্বাস করে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে ভগবত বীর সাভারকরের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বীর সাভারকর বলেছিলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা যদি একত্রিত ও সংগঠিত হয় তাহলে তাঁরা ভগবৎ গীতা নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু কাউকে হত্যা করা বা শেষ করে দেওয়ার কথা কখনই বলবেন না।’

উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের সভায় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যে বিতর্ক গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি এনভি রামণ, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে  শুনানি হয় সেই মামলার। সাংবাদিক কুরবান আলি ও পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অঞ্জনা প্রকাশের করা মামলার শুনানি ছিল বুধবার।

কী সেই বিতর্ক?

গত বছরের শেষের দিকে, ১৭ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ডে সেই ধর্ম সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একাধিক ধর্মসংগঠনের পক্ষ থেকে অনেক প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। ধর্ম সংসদের সেই সভায় ধর্মীয় সংগঠন গুলির প্রতিনিধিদের মুখে একের পর এক বিতর্কিত এবং উস্কানি মূলক বক্তব্য শোনা যায়। বিশেষত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তাঁদেরর বিরুদ্ধে। তবে পুরো সভাই হয়েছিল রুদ্ধদ্বার, সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না। কেবল মাত্র আমন্ত্রিতরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় ওই ধর্মসভার ভিডিয়ো। সেখান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article