নয়া দিল্লি: রাজধানীতে ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে ষষ্ঠ সেরো সার্ভের পর এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে। কোনও জেলাতেই সেরো পজ়িটিভিটি রেট ৮৫ শতাংশের নিচে নেই। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে।
অ্যান্টিবডি তৈরির হারে অনেকটা গতি বেড়েছে টিকাকরণের মাধ্যমে। এই সমীক্ষার রিপোর্টে শরীরে যে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্য টিকাকরণের মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, এমন হিসেবও রয়েছে।
রবিবার পর্যন্ত, দিল্লিতে দুই কোটিরও বেশি মানুষ, অর্থাৎ রাজধানীর জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় পেয়েছে। প্রায় ৪৮ শতাংশ মানুষের সম্পূর্ণ টিকাকরণ অর্থাৎ দুটি ডোজ়ই হয়ে গিয়েছে।
কোভিডের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের ক্ষেত্রে ঠিক কত শতাংশ জনসংখ্যার শরীরে অ্যান্টিবডি থাকা প্রয়োজন তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে কিছু জানাতে পারেননি। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এটি পরিবর্তিত হয়। কোভিডের ক্ষেত্রে এটি ৭০, ৮০ এবং ৯৫ শতাংশের মধ্যে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি হয়েছিল রাজধানীতেই। চারিদিকে প্রাণবায়ুর জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। কোনও হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টার জন্য অক্সিজেন বাকি, তো কোথাও আবার আরও কম সময়ের জন্য। তবে এখন সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে দিল্লি। উল্লেখ্য এপ্রিল মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর, এই প্রথমবার সেখানে কোনও সেরো সার্ভে করা হল।
এদিকে, গতকালের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও, ভয় ধরাচ্ছে দেশের মৃত্যুর গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে প্রাণ হরিয়েছেন ৫৮৫ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৩৫৬ জন।
তবে গোটা দেশে সংক্রমণ কমলেও শীর্ষে এখনও কেরল, তামিলনাড়ু মহারাষ্ট্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এখনও কেরলে (Kerala)। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৬৩ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮২ জনের। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা একধাক্কায় বেড়ে ১ হাজার ২০১ হয়েছে। তবে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের অন্যদিকে কর্নাটকে একদিনে ২৭৭ জন আক্রান্ত। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০ জন।
তবে উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্য নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৪ জন। রাজধানী দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। আবার মিজ়োরামের মতো ছোটো রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪০ ছুঁইছুই। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
আরও পড়ুন : Corona Outbreak: উৎসবের মরশুমে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মৃত্যু, এক লাফে টপকালো ৫০০ গণ্ডি
আরও পড়ুন : Sameer Wankhede: অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত আরিয়ান মামলার তদন্তভার সমীর ওয়াংখেড়ের উপরেই