Hookah Lounge: বন্ধ হবে সব হুক্কা লাউঞ্জ, প্রয়োজনে বুলডোজ় করে গুড়িয়ে দেওয়া হবে: মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
Shivraj Singh Chauhan: মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী রবিবার মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্যে একটি নেশা মুক্তি অভিযানের সূচনা করেন। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়েই এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভোপাল: মধ্য প্রদেশের সব হুক্কা লাউঞ্জগুলিকে এবার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রবিবার এই ঘোষণা করেছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সে রাজ্যে হুক্কা লাউঞ্জগুলিকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে বুলডোজ করে গুড়িয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অবৈধ মাদক ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী রবিবার মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্যে একটি নেশা মুক্তি অভিযানের সূচনা করেন। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়েই এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্য প্রদেশে হুক্কা ব্যবহারের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আনার দাবি করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার থেকে যে নেশামুক্তি অভিযানের সূচনা হয়েছে, তার প্রচার চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। চৌহান বলেন, “হুক্কা লাউঞ্জের মতো জায়গাগুলিকে মধ্য প্রদেশে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে সেগুলিকে বুলডোজ করে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, কলেজ ও স্কুলের আশেপাশে যে ‘সাদা মাদক’ বিক্রি হচ্ছে তা তরুণ-তরুণীদের জীবনকে নষ্ট করে নেশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাজ্য সরকার মাদক বিক্রি ও পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সংকল্প নিয়েছে এবং সমাজকে মাদক মুক্ত করার ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ব্যক্তিরা মধ্য প্রদেশকে মাদকমুক্ত করার শপথ নেন। এই প্রচারাভিযান চলাকালীন প্রতিটি শহর ও গ্রামে নেশা মুক্ত করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ চালানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। চৌহান আরও বলেন, “অ্যালকোহলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আবগারি নীতি প্রণয়ন করা হবে।” যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে রাজ্য জুড়ে খেলাধুলা এবং যোগব্যায়াম মতো কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় উমা ভারতী বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রাম যখন গণআন্দোলনে পরিণত হয় তখন দেশ স্বাধীন হয়, একইভাবে মাদক ও অ্যালকোহল থেকে মুক্তি পেতে নেশামুক্তি অভিযানকেও গণআন্দোলনের রূপ দিতে হবে।”