ভোপাল: দেশ যতই ডিজিটাল হোক। এখনও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন কিছু প্রথা প্রচলিত আছে, যা রীতির নামে প্রহসন। সে রকমই একটা ঘটনা ঘটল মধ্য প্রদেশে। কয়েক দিন ধরেই সেই ছবি ভাইরাল। এবার সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক মহিলা হেঁটে চলেছেন আর তার কাঁধে একটি ছেলে। ভিডিওটি হাতে পৌঁছতেই তৎপর হয় পুলিশ। এপরপই চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় সারাদিন ঘোরার পর কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন?
মধ্য প্রদেশের গুণা জেলার ঘটনা। জেলার পুলিশ সুপার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, প্রচলিত প্রথার নামে এ ভাবেই শাস্তি দেওয়া হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই মহিলাকে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে ওই মহিলার স্বামীও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর প্রথম স্বামীর সঙ্গে থাকছেন না। বদলে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে থাকছেন তিনি। আর এই অভিযোগেই মহিলার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর উপর চড়াও হন। তাঁকে ওইভাবে ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘সত্যিকারের রক্ত’ শেয়ার করলেন জন, কারা মুছে দিলেন অভিনেতার রক্ত?
সেখানেই শেষ নয়। মহিলাকে রীতিমত লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। আর মহিলাকে সাহায্য করার বদলে স্থানীয় লোকজন ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করছেন, এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ৯ ফেব্রুয়ারির, কিন্তু পুলিশের হাতে এসেছে সম্প্রতি।
#WATCH: A video went viral of a woman who was made to walk in MP’s Guna while carrying a boy on shoulders. She had allegedly left her husband for someone else. Angered by this, her relatives also allegedly beat her
“Case registered. 3 of 4 accused arrested,” said SP Guna(15.02) pic.twitter.com/LWTE9gwNWy
— ANI (@ANI) February 16, 2021
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হলেও আরও এক জন পলাতক। তাঁকেও দ্রুত ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই মহিলা দাবি করেছেন, কাজের সূত্রে বাইরে যাওয়ার সময় তাঁর স্বামী তাঁকে অন্য একজনের বাড়িতে রেখে যান, সেখানেই থাকতে শুরু করেন তিনি।