AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyber Fraud: ৩০০ টাকার লিপস্টিক অর্ডার করে লাখ টাকা খোয়ালেন মহিলা চিকিৎসক!

Cyber Fraud: ওই চিকিৎসক একটি নামকরা ই-কর্মাস পোর্টাল থেকে লিপস্টিক অর্ডার করেছিলেন ৩০০ টাকা দিয়ে। দিন কয়েক বাদে তাঁর ফোনে কুরিয়ার কোম্পানি থেকে মেসেজ আসে যে অর্ডার ডেলিভার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অর্ডার হাতে না পাওয়ায় সংস্থার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। সেখান থেকে বলা হয়, শীঘ্রই কাস্টমার কেয়ারের আধিকারিক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।  

Cyber Fraud: ৩০০ টাকার লিপস্টিক অর্ডার করে লাখ টাকা খোয়ালেন মহিলা চিকিৎসক!
প্রতীকী চিত্রImage Credit: Pixabay
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 11:59 AM
Share

মুম্বই: মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে নজরে পড়েছিল একটা লিপস্টিক। দেখা মাত্রই পছন্দ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে অর্ডারও করে দেন। দিন কয়েক বাদেই মোবাইলে কুরিয়ার সংস্থা থেকে মেসেজ আসে যে অর্ডার ডেলিভারি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর কাছে তো কোনও পার্সেল আসেনি! তাহলে গেল কোথায় লিপস্টিক? ৩০০ টাকার লিপস্টিকের খোঁজ করতে গিয়েই রাতারাতি ১ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক মহিলা চিকিৎসক।

অসাবধানে একটা ক্লিক, আর তাতেই ফাঁকা হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট। অনলাইন প্রতারণা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। দিন-প্রতিদিন সামনে আসছে প্রতারণার নতুন নতুন ছক। এবার ৩০০ টাকার লিপস্টিক অর্ডার করে লাখ টাকা খোয়ালেন ৩১ বছর বয়সী এক মহিলা চিকিৎসক। নভি মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক একটি নামকরা ই-কর্মাস পোর্টাল থেকে লিপস্টিক অর্ডার করেছিলেন ৩০০ টাকা দিয়ে। দিন কয়েক বাদে তাঁর ফোনে কুরিয়ার কোম্পানি থেকে মেসেজ আসে যে অর্ডার ডেলিভার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অর্ডার হাতে না পাওয়ায় সংস্থার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। সেখান থেকে বলা হয়, শীঘ্রই কাস্টমার কেয়ারের আধিকারিক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

সত্য়ি সত্য়িই এর কিছুক্ষণ পর অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ও প্রান্ত থেকে বলা হয়, “কাস্টমার কেয়ার থেকে কথা বলছি। আপনার অর্ডার হোল্ডে রাখা হয়েছে। অর্ডারটি পাওয়ার জন্য আপনি ২ টাকা ট্রান্সফার করুন”। একাধিকবার কাস্টমার কেয়ার থেকে তাঁকে টাকা পাঠাতে বলা হলেও, ওই চিকিৎসক টাকা পাঠাননি।  এরপরে ওই চিকিৎসককে একটি ওয়েব লিঙ্ক পাঠানো হয় এবং সেখানে ক্লিক করতে বলা হয়। ওই চিকিৎসক লিঙ্কে ক্লিক করতেই তাঁর সামনে একটি পেজ খুলে যায়। সেখানে তিনি নিজের নাম, ঠিকানা ও ব্যাঙ্ক ডিটেইলস বসান। এরপরে তাঁর ফোনে একটি মেসেজ আসে, তাতে ভিম ইউপিআই লিঙ্ক তৈরি করতে বলা হয়। সন্দেহ হলেও, শেষ অবধি কাস্টমার কেয়ার রিপ্রেজেন্টেটিভের কথায় ক্লিক করেন।

এরপরে কিছুদিন ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক গতিবিধি না হলেও, গত ৯ নভেম্বর তাঁর ফোন থেকে প্রথমে ৯৫ হাজার ও পরে ৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নেরুলের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানান।