মুম্বই: গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তাঁর রক্তবমি শুরু হয়। তা হতেই তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে শয্যা খালি না থাকায় ওই ব্যক্তিকে পরিবারের লোকেরা ভর্তি করেছিলেন মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর দুদিন পর মর্গ থেকে তাঁর দেহ শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চুল্লিতে তোলার আগেই মাথায় হাত পরিবারের লোকেদের। তাঁরা দেখেন তাঁর পরিজনের বদলে অন্য লোকের দেহ দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল। ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচইও পড়েছে মহারাষ্ট্রের এক গ্রামে।
মহারাষ্ট্রের ভারাঞ্জে গ্রামে স্কুলে কাজ করতেন ক্রুশান্ত মহাদেব। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পর তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। দিন কয়েক ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরই ঘটেছে বিভ্রাট।
ঘটনা নিয়ে মহাদেবের এক আত্মীয় বলেছেন, “মর্গে ২ দিন দেহ পড়েছিল। তার পর আমরা সেখান থেকে গ্রামে নিয়ে আসি। দেহ শ্মশানে আনা হয়েছিল। সেখানে কাপড় সরাতে দেখা যায়, অন্য লোকের দেহ দিয়েছে হাসপাতাল। আমরা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।” এর পর ওই হাসাপাতালে গিয়ে ফের দেহ বদলে এনেছেন ওই ব্যক্তির পরিজনরা।