মুম্বই: অফিস-কাছারিই হোক বা কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বড় অংশের মানুষই ভরসা করেন লোকাল ট্রেনের উপরে। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন লোকাল ট্রেনে (Local Train)। ভিড়ের চাপে স্বাভাবিকভাবেই অনেকের বিভিন্ন জিনিস খোয়া যায়। এমনই ঘটেছিল এক যাত্রীর সঙ্গে। লোকাল ট্রেনে ফেলে এসেছিলেন গহনা ভর্তি ব্যাগ। মনে পড়তেই স্টেশন মাস্টারের (Station Master) কাছে ছোটেন। তন্নতন্ন করে খুঁজেও ওই লোকাল ট্রেনে আর মেলেনি ব্যাগটি। ১২ লক্ষ টাকার গহনা খুইয়ে যখন মনমরা হয়েছিলেন ওই ব্য়ক্তি, তখনই বাড়ি বয়ে সুখবর নিয়ে আসলেন রেল আধিকারিকরা। রেলের কৃপাতেই ‘শুভ’ হয়ে উঠল ওই ব্যক্তির দীপাবলি।
মুম্বইয়ের প্রাণ ‘লোকাল ট্রেন’। বাস বা গাড়িতে চেপে কোথাও যাওয়ার থেকে লোকাল ট্রেনে চাপতেই পছন্দ করেন অনেকে। সম্প্রতিই আম্বেরনাথ-সিএসএমটি ফাস্ট লোকালে চেপেছিলেন এক যাত্রী। তাঁর সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল, তাতে ভরা ছিল ১২ লক্ষ টাকার সোনার গহনা। ভিড়ের কারণেই তিনি সিটের উপরে রাখা তাকে ব্য়াগটি তুলে রেখেছিলেন। বৈকাল স্টেশন আসতে তিনি নেমে পড়েন। বেশ কিছুটা এগিয়ে আসার পর তাঁর হঠাৎ খেয়াল হয়, হাত ফাঁকা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটলেন স্টেশনে, কিন্তু ততক্ষণে স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে ট্রেন।
স্টেশন মাস্টারের কাছেও যান ওই ব্য়ক্তি। সঙ্গে সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। যখন লোকাল ট্রেনটি সিএসএমটি স্টেশনে এসে পৌঁছয়, তখন রেল পুলিশের তরফে সমস্ত ট্রেনে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কোথাও গহনা ভর্তি ব্যাগ পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তি সিএসএমটি রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ জানান।
রেল পুলিশের তরফে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। দিন কয়েক পরে আম্বেরনাথে হুসেন মুস্তাফা হুসেন শেখের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে জেরা শুরু করে পুলিশ। প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন যে গহনা ভর্তি ব্যাগটি তিনিই হাতিয়ে নিয়েছিলেন। আরপিএফ ও জিআরপি ধৃতের কাছ থেকে ২৭২ গ্রাম সোনার গহনা উদ্ধার করে, যার বাজারমূল্য ১২ লক্ষ টাকা।
পরে গহনার আসল মালিক, ওই ব্যক্তির হাতে উদ্ধার হওয়া সোনা তুলে দেওয়া হয়। দীপাবলির ঠিক আগেই খোয়ানো গহনা ফিরে পেয়ে রেল পুলিশ ও কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, “রেল পুলিশের তৎপরতায় আমার দীপাবলি শুভ হয়ে উঠল।”