হায়দরাবাদ: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নতুন নজির গড়লেন এক মুসলিম মহিলা। তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওই মহিলা ভগবদ গীতার উর্দুতে অনুবাদ করেছেন। এই অনুবাদ করতে গিয়ে ওই মহিলার মনে হয়েছে, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতার শতাধিক শ্লোকের সঙ্গে মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কোরানের প্রচুর শ্লোকের মিল রয়েছে। এই অনুবাদের বিষয়টি সামনে আসতে, ধর্ম নির্বিশেষে প্রচুর মানুষের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পে্য়েছেন ওই মহিলা।
গীতার উর্দুতে অনুবাদক ওই মহিলার নাম হেবা ফতিমা। তেলঙ্গানার নিজামাবাদ জেলার বোধন শহরের রাকাশিপেট এলাকায়। বর্তমানে ফতিমা ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর কোর্সের ছাত্রী। তবে উর্দু মাধ্যমে স্কুলের পড়াশোনা করেছেন ফতিমা। স্নাতক থেকে তিনি ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর বাবা ওই এলাকারই ব্যবসায়ী। নিজের ধর্মের ব্যাপারে জানলেও ছোট থেকেই অন্য ধর্মের ব্যাপারে জানার প্রতি আগ্রহ ছিল ফতিমার। সেই আগ্রহের তাড়নাতেই ভগবদ গীতা পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি মন দিয়ে পড়তে থাকেন হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ।
তার পর গীতার ১৮টি অধ্যায়ের প্রায় ৭০০ শ্লোক উর্দুতে অনুবাদ করেন ফতিমা। মাত্র তিন মাসেই ৭০০ শ্লোকের অনুবাদ করেছেন তেলঙ্গানার ওই ছাত্রী। এই অনুবাদের কাজ করার সময়ই দুই ভিন্ন ধর্মের ধর্মগ্রন্থের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন ফতিমা। তাঁর মতে গীতার ৫০০ শ্লোকের সঙ্গে কোরানের ৫০০ আয়াতের প্রচুর মিল। কেন তিনি গীতার উর্দু অনুবাদ করলেন তাও জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। জীবন কত সহজ এবং সব ধর্মই যে সহাবস্থানের কথা বলে তা তুলে ধরতেই এই কাজ করেছেন তিনি। উর্দুতে অনুবাদ করায় অনেকেই তা পড়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন।
ফতিমার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। নাম ‘মেসেজ ফর অল বাই হেবা ফতিমা’। সেই চ্যানেলে ১০০ বেশি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন ফতিমা। এ ছাড়াও বই সংক্রান্ত বিভিন্ন রেকর্ড রয়েছে তাঁর নামে।