Myanmar Military plane: মিজোরামে দুর্ঘটনার কবলে মায়ানমার সেনার বিমান!

Jan 23, 2024 | 3:51 PM

Myanmar Military plane: মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিমানটি ওড়ার সময় রানওয়ে থেকে বেরিয়ে পড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিমানটিতে পাইলট-সহ মোট ১৩ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

Myanmar Military plane: মিজোরামে দুর্ঘটনার কবলে মায়ানমার সেনার বিমান!
পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি
Image Credit source: Twitter

Follow Us

আইজল: মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল মায়ানমারের এক সামরিক বিমান। বিমানটি ভারত থেকে মায়ানমারের সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছিল। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিমানটি ওড়ার সময় রানওয়ে থেকে বেরিয়ে পড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিমানটিতে পাইলট-সহ মোট ১৩ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে লেংপুই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি মায়ানমারে বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে, মায়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা দলে দলে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। মণিপুর, মিজোরাম-সহ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছে। মায়ানমারের এই সেনা সদস্যদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত। তারই অংশ হিসেবে এই সেনাদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল মায়ানমার।

লেংপুইয়ে রানওয়ে টেবিলটপ, অর্থাৎ, অনেকটা মালভূমি আকৃতির। ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উঁচু করে এই রানওয়েগুলি তরি করা হয়। এই বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করানো বেশ চ্যালেঞ্জের। এদিন অবতরণের সময়, মায়ানমারের একটি শানসি ওয়াই-8 বিমান রানওয়েতে থামতে পারেনি। ফলে, সেটি রানওয়ের শেষে নীচে পড়ে যায়। বিমানটির ফুসেলেজ অংশ ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায়। এর আগে ২০২০ সালের ৭ অগস্ট, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান, একইভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। বিমানট দুবাই থেকে কালিকট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। এই বিমানবন্দরের রানওয়েও টেবিলটপ প্রকৃতির। টেবিলটপ রানওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ছিটকে পড়ে ৩০-৩৫ ফুট খাদে পড়ে গিয়েছিল বিমানটি। ১৯ জন যাত্রী এবং দুই পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল।


সোমবার, অসম রাইফেলস জানিয়েছিল, গত সপ্তাহে মোট ২৭৬ জন মায়ানমার সেনা মিজোরামে অনুপ্রবেশ করেছে। সোমবার তাদের মধ্যে ১৮৪ জনকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি, ভারত-মায়ানমার-বাংলাদেশ তিন দেশের সীমান্তবর্তী, মিজোরামের লংটলাই জেলার বন্দুকভাঙ্গা গ্রামে পালিয়ে এসেছিল মায়ানমার সেনার এই সদস্যরা। অসম রাইফেলসের ঘাঁটিতে গিয়ে তারা সাহাায্য চেয়েছিল। তারা জানিয়েছে, মায়ানমারে তাদের সেনা ঘাঁটি, ‘আরাকান আর্মি’ নামে বিদ্রোহী যোদ্ধারা দখল করে নিয়েছে। এই ‘আরাকান আর্মি’র সদস্যরা মায়ানমার থেকে রাখাইন প্রবেশকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন রাখাইন দেশ গঠন করতে চায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে প্রাণ ভয়ে তারা মিজোরামে পালিয়ে এসেছিল।

Next Article