Black Magic: ‘কালো জাদু’ করতে গিয়ে পাঁচ বছরের মেয়েকে ‘পিটিয়ে খুন’ দম্পতির

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Aug 07, 2022 | 3:23 PM

Nagpur: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটির বাবা-মা এবং সঙ্গে এক নিকট আত্মীয় শুক্রবার গভীর রাতে এই 'কালো জাদু' করছিল। সঙ্গে গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং-ও করছিল। পরে পুলিশ সেই ভিডিয়ো রেকর্ডিংটি উদ্ধার করেছে।

Black Magic: কালো জাদু করতে গিয়ে পাঁচ বছরের মেয়েকে পিটিয়ে খুন দম্পতির
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নাগপুর : ‘অশুভ শক্তি’কে তাড়ানোর জন্য ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসলেন নাগপুরের দম্পত্তি। ‘কালো জাদু’ চর্চা করতে গিয়ে নিজেদের পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার শিশুটির বাবা সিদ্ধার্থ চমনে (৪৫), মা রঞ্জনা (৪২) এবং প্রিয়া বনসোদ (৩২) নামে অন্য এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, সিদ্ধার্থ চমনে নামে ওই ব্যক্তির দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স ১৬ বছর। ছোট মেয়ের বয়স পাঁচ বছর। গত মাসে গুরু পূর্ণিমার সময় ওই ব্যক্তি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে টাকালঘাট এলাকায় একটি দরগায় গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নাকি ওই ব্যক্তি তার ছোট মেয়ের আচরণের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হয়েছে বলে সন্দেহ করেছিল। সে মনে করছিল, কিছু অশুভ শক্তির প্রভাব রয়েছে এই ঘটনার পিছনে। আর সেই অশুভ শক্তি তাড়ানোর জন্য কালো জাদু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই ব্যক্তি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটির বাবা-মা এবং সঙ্গে এক নিকট আত্মীয় শুক্রবার গভীর রাতে এই ‘কালো জাদু’ করছিল। সঙ্গে গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং-ও করছিল। পরে পুলিশ সেই ভিডিয়ো রেকর্ডিংটি উদ্ধার করেছে। ভিডিয়ো ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে, ছোট্ট মেয়েটি কান্নাকাটি করছি। আর অভিযুক্তরা মেয়েটিকে কিছু প্রশ্ন করছিল। কিন্তু মেয়েটি সেই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারছিল না। শুধু তাই নয়, এরপর ওই প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিযুক্তরা তিন জন শিশুটিকে প্রথমে থাপ্পড় মারে। তারপর গুরুতর মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার জেরে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারপর শনিবার সকালে অভিযুক্তরা মেয়েটিকে দরগায় নিয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে মেয়েটিকে একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। অভিযুক্তদের এভাবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দেখে মনে সন্দেহ হয় হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষীর। তিনি নিজের মোবাইল ফোনে অভিযুক্তদের গাড়ির একটি ছবি তুলে রাখেন। এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকও শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের ওই নিরাপত্তারক্ষীর মোবাইলে তোলা ছবির সূত্র ধরে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। রানা প্রতাপ নগর থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তদের শনিবার গ্রেফতার করা হয়।

Next Article