India – UK Relation: ভ্যাকসিন দ্বন্দ্ব মিটতেই নমোকে ফোন বরিসের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Oct 11, 2021 | 8:07 PM

Modi - Boris Conversion: উল্লেখ্য চারদিন আগেই ব্রিটেন ঘোষণা করেছে যে ভারতীয় যাত্রীরা কোভিশিল্ডের উভয় ডোজ় নিয়েছেন ১১ অক্টোবর থেকে ব্রিটেনে প্রবেশে ক্ষেত্রে তাঁদের আর ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিন প্রয়োজন হবে না।

India - UK Relation: ভ্যাকসিন দ্বন্দ্ব মিটতেই নমোকে ফোন বরিসের
এরপরেই, গ্লাসগোতে (Glasgow) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Borris Johnson) আমন্ত্রণে ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ( United Nations Framework Convention on Climate Change ) শীর্ষক সম্মলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা আবহেও এই সম্মেলন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনা টিকাকে কেন্দ্র করে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে যে চাপা দ্বন্দ্ব চলছিল, তা এখন মিটেছে। কোভিশিল্ড টিকাপ্রাপকদের ভারত থেকে যে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে এখন আর কোনও সমস্যা হবে না ব্রিটেনে ঢুকতে। ব্রিটেনে গিয়ে কোয়ারানটিনেও থাকতে হবে না কোভিশিল্ড টিকাপ্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিকদের। আর তারপরই আজ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী। টিকার শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে জটিলতা ঘোচাতে ব্রিটেনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নমো।

এর পাশাপাশি তালিবান ইস্যু নিয়েও দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে। আফগানিস্তানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের রূপরেখা কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়েও বরিস ও নমোর মধ্যে কথা হয়েছে বলে ব্রিটেনের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য চারদিন আগেই ব্রিটেন ঘোষণা করেছে যে ভারতীয় যাত্রীরা কোভিশিল্ডের উভয় ডোজ় নিয়েছেন ১১ অক্টোবর থেকে ব্রিটেনে প্রবেশে ক্ষেত্রে তাঁদের আর ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিন প্রয়োজন হবে না।

ব্রিটেনের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াই নিয়ে কথা বলেছেন এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চালু করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

দুই রাষ্ট্রনেতা গ্লাসগোতে আসন্ন সিওপি-২৬ (COP-26)-এর প্রেক্ষিতে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, শক্তি এবং জলবায়ু বিষয়ক ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, ব্রিটেন কোভিশিল্ড প্রাপক ভারতীয় নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশে জটিলতা তৈরি করতেই কড়া পদক্ষেপ নেয় দিল্লি। পাল্টা ভারতে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রেও ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য কড়া বিধি জারি করেছিল ভারত। কোনও ব্রিটিশ নাগরিক ইংল্যান্ড থেকে ভারতে এলে তাঁকে বাড়িতে বা যে কোনও হোটেলে দশ দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ব্রিটেনের নাগরিকদের ভারতে আসতে গেলে ৭২ ঘণ্টা আগে করা কোভিড নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট আনতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরে নামা মাত্র কোভিড টেস্টও বাধ্যতামূলক করা হয়। ভারতে আসার আটদিনের মাথায় আরও একবার আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে বলে জানানো হয়। সে দেশের সব নাগরিকের জন্যে এই নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র।

এরপরই ব্রিটেনে যাওয়া ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এবার থেকে আর কোনও কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ব্রিটেন।  ১১ অক্টোবর থেকেই নয়া এই নির্দেশিকা অনুয়াযী কোভিশিল্ড কিংবা ব্রিটেনের অনুমোদন প্রাপ্ত যে ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া থাকলেই সে দেশে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। গত কয়েকমাস ধরে ভারত যে ভাবে সহযোগিতা করেছে সে জন্যে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : Vaccine Certificate Row: কোয়ারেন্টাইন অস্ত্রেই ঘায়েল ব্রিটেন! কোভিশিল্ড নিলেই ছাড়পত্র ভারতীয়দের

Next Article