মানুষের ইন্টারনেট নির্ভরতা ক্রমশই বাড়ছে। প্রতিদিনের নানা কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার আগের থেকে অনেক বেড়েছে। আর উৎসবের আবহেই দেশের মানুষের জন্য খুশির খবর। শনিবারই দেশে 5G পরিষেবার সূচনা করছেন নরেন্দ্র মোদী।
গোটা বিশ্ব যখন থেমে ছিল, তখনও আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করেছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জন্য আজ এক ক্লিকে টাকা লেনদেন করতে পারে সাধারণ মানুষ : মোদী।
যত বেশি মানুষের মধ্যে সংযোগ বাড়বে, ততই ভাল। ইন্টারনেট কানেকশনের সংখ্যা অনেক বেশি। আজ ৮৫ কোটিতে পৌঁছেছে ইন্টারনেট কানেকশনের সংখ্যা। বর্তমানে গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ ১ লক্ষ ৭০ হাজার পঞ্চায়েতে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছেছে: মোদী।
আত্মনির্ভরতার কথা বলেছিলাম বলে অনেকে মজা করেছিলেন। ২০১৪ পর্যন্ত প্রায় ১০০ শতাংশ মোবাইল আমদানি করতাম। এরপর আত্মনির্ভরতার কথা ভেবেছি আমরা। তখন দেশে মাত্র ২ টি মোবাইল উৎপাদন কেন্দ্র ছিল। আজ সেই সংখ্যাটা ২০০-র ওপরে। বেসরকারি সংস্থাকে আমরা উৎসাহ দিয়েছি। মোবাইল উৎপাদনে আজ ভারত বিশ্ব দ্বিতীয়: মোদী।
নতুন প্রযুক্তির জন্য পড়াশোনার ধরন বদলে যাচ্ছে। সব রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়ারাও দেশের বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এ এক রোমাঞ্চকর অনুভব। ভারত প্রযুক্তির বিকাশে অনেক বড় ভূমিকা নেবে: মোদী।
আজাদির অমৃত মহোৎসবের কালে এই ১ অক্টোবর তারিখটি ইতিহাসে লেখা থাকবে। দেশের টেলিকমের তরফে ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে এক উপহার দেওয়া হচ্ছে। ফাইভ জি এক নতুন দিশা দেখাবে: মোদী
ভদোদরায় একটি মেট্রোর টানেল তৈরির কাজ চলছে। সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ফাইভ জি পরিষেবার উদাহরণ দিয়েছে ভোডাফোন। টানেলের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন মোদী। ওই কর্মী জানান, ফাইভ জি পরিষেবায় তাঁদের কাজে অনেক সুবিধা হচ্ছে। কাজের গতিও বাড়ছে। মোদী জানান, শ্রমিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে এই পরিষেবা।
ফাইভ জি পরিষেবার নমুনা দেখানোর জন্য আমেদাবাদের একটি প্রাথমিক স্কুলকে বেছে নিয়েছে জিও। ভার্চুয়ালি কী ভাবে দূরে থেকে একজন শিক্ষক বিজ্ঞান পড়াতে পারেন, তা দেখানো হয় এ দিন। স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথাও বলেন মোদী। বোঝার চেষ্টা করেন, এ ভাবে পড়াশোনা করা সম্ভব কি না।
প্রগতি ময়দান থেকেই 5G পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মঞ্চে উপস্থিত জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোন কর্ণধার। রয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
অম্বানী বলেন, 5G -র অর্থ পাঁচটি গোল বা লক্ষ্য। এক, শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি। বহু মানুষের কাছে পৌঁছবে শিক্ষা। তরুণ-তরুণীরা বুঝতে পারবেন তাঁদের দক্ষতা। দ্বিতীয় হল, স্বাস্থ্য পরিষেবা। দেশের যে কোনও প্রান্তের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা যাবে সহজেই। কৃষি, শিল্পে খরচ অনেক কমবে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর দাবি, ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স আসবে সব ক্ষেত্রে, প্রযুক্তির নিরিখে বিশ্বের কাছে পরিচিতি পাবে ভারত।
দেশের সামাজিক ও আর্থিক উন্নতির জন্য টেলিকম সেক্টরের উন্নতির প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী টেলিকম সেক্টরের কাজ অনেক সহজ করেছেন। তৈরি হয়েছে স্বচ্ছ ব্যবস্থা। 5G পরিষেবা চালু হলে দেশের একাধিক সেক্টরে পরিবর্তন আসবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার চেহারাই বদলে যাবে: অশ্বিনী বৈষ্ণব।
দিল্লির প্রগতি ময়দানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোনের তরফে দেখানো হচ্ছে, কী ভাবে কাজ করবে এই পরিষেবা, কতটা সহজ হবে যোগাযোগ।
টেলিমিডিশনের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এক রাজ্যের মানুষের সঙ্গে অন্য রাজ্যের যোগাযোগ হবে সহজ। দ্রুতগতির ইন্টারনেটে শিল্পের গতিও অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে।
১৯৮০ সালে 1G (ওয়ান জি) পরিষেবার সূচনা হয়েছিল ভারতে। সেখান থেকে একের পর এক ধাপ পেরিয়ে অবশেষে ফাইভ জি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফোর জি থেকে ফাইভ জি- তে যাওয়ার পথটা খুব একটা সহজ ছিল না। তবে এবার ইন্টারনেট দুনিয়ায় কার্যত বিপ্লব আসতে চলেছে।