Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী ‘বিহারের মেয়ে’, ত্রিনিদাদ সফরে গিয়ে আপ্লুত মোদী
Narendra Modi: আদতে কমলা পারসাদের পরিবার ছিল বিহারের বক্সারের বাসিন্দা। বক্সার জেলার ভেলুপুরের ইটাধি ব্লকে রয়েছে কমলার পৈতৃক গ্রাম। জনসংখ্যা খুব বেশি নয়, হাজার খানেক মানুষের বাস। সেই গ্রামের মেয়েই বর্তমানে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী।

নয়া দিল্লি: ‘বিহারের মেয়ে’ এই ভাষাতেই ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী। পাঁচ দেশের সফরের মাঝেই ত্রিনিদাদ-টোবাগো গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম কমলা পারসাদ বিসেসার। তাঁর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়েই মোদী বললেন ‘বিহার কি বেটি।’
প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কমলার পূর্বপুরুষেরা থাকতেন বিহারের বক্সারে। উনিও বিহারে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের মেয়ে হিসেবেই চেনেন।” ১৯৯৯-এর পর ক্যারিবিয়ার এই দ্বীপে এটাই ছিল কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন।
আদতে কমলা পারসাদের পরিবার ছিল বিহারের বক্সারের বাসিন্দা। বক্সার জেলার ভেলুপুরের ইটাধি ব্লকে রয়েছে কমলার পৈতৃক গ্রাম। জনসংখ্যা খুব বেশি নয়, হাজার খানেক মানুষের বাস। সেই গ্রামের মেয়েই বর্তমানে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী।
কমলার জন্ম অবশ্য হয়েছে ত্রিনিদাদ-টোবাগোতে। তবে তাঁর পূর্বপুরুষরা, বিশেষ করে ঠাকুরদা পণ্ডিত রাম লখন মিশ্র, ১৮৮০-৯০ সালে কলকাতা বন্দর থেকে ভোলগা জাহাজে করে ত্রিনিদাদে গিয়েছিলেন। আর সেই থেকেই কমলাদের বসবাস ওই দেশেই।
কমলার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। ওই দেশে সাংসদও হয়েছেন তিনি। ওই দেশের শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন তিনি। আইন নিয়ে পড়াশোনা করার পর এমবিএ করেন কমলা। ২০০৬-এ স্নাতক হন তিনি।
প্রাথমিকভাবে তিনি সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করলেও পরে তিনি একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। এরপর স্থায়ীভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি।
এখনও কমলার পরিবারের অনেক আত্মীয়ই বিহারের বক্সারে থাকেন। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কমলা তাঁর পৈতৃক গ্রাম দেখতে এসেছিলেন। বলে রাখা প্রয়োজন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ভারতীয় বংশদ্ভুত।
