নয়া দিল্লি: কোথাও স্কুল আছে, পড়ুয়া নেই। কোথাও আবার স্কুল থাকলেও, সেখানে ছাত্রীদের জন্য শৌচালয় নেই। অবং সেই সংখ্যাটা কম নয়। ৭০০-রও বেশি স্কুলে মহিলা শৌচালয় নেই। আবার ১২০০-রও বেশি স্কুলে পুরুষদের জন্য কোনও শৌচালয় নেই। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্যে।
শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্যে ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে এসেছে হরিয়ানার। বেহাল দশা সেখানের স্কুলগুলির। নথিতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে মোট ২৩ হাজার ৫১৭টি স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে ৭৬৭ টি স্কুলে মহিলা শৌচালয় নেই। ১২৬৩টি স্কুলে পুরুষদের জন্য় শৌচালয় নেই।
সরকারি তথ্যে আরও জানা গিয়েছে, ২২ হাজার ৯১৮টি স্কুলে মহিলাদের শৌচালয় থাকলেও, এর মধ্য়ে ২২ হাজার ৭৫০টি স্কুলের শৌচালয় ব্যবহারযোগ্য। পুরুষদের শৌচালয়ের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
দেশের সার্বিক হিসাবে, মোট স্কুলের মধ্যে ৭.১৪ শতাংশ স্কুলেই অর্থাৎ ১ লাখের বেশি স্কুলে মহিলাদের ব্যবহারযোগ্য শৌচালয় নেই।
বাকি পরিষেবাও খুব একটা নেই। হরিয়ানার ১৪৬টি স্কুলে এখনও বিদ্যুৎ নেই। রাজ্যের প্রায় ৩৩ শতাংশ স্কুলেই ইন্টারনেটের ব্যবস্থা নেই, এদিকে ৯৭ শতাংশ স্কুলেই রয়েছে কম্পিউটার। দেশের ৫৩ শতাংশ স্কুলে ইন্টারনেট রয়েছে। ৫৭ শতাংশ স্কুলে সচল কম্পিউটার রয়েছে।
হরিয়ানাতে আবার এমন স্কুলও রয়েছে, যেখানে কোনও পড়ুয়া নেই। এমন স্কুলের সংখ্যা ৮১। এদিকে, সেই স্কুলগুলিতে ১৭৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তারা পড়ানোর জন্য পড়ুয়া খুঁজে বেড়ান। উল্টো চিত্রটাও রয়েছে। রাজ্যের ৮৬৭টি স্কুল এমন রয়েছে, যেখানে একজনই শিক্ষক রয়েছেন।