নয়া দিল্লি: মঙ্গলবারই ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তার একদিন পর, বুধবার (৩ অগস্ট), দিল্লির হেরাল্ড হাউসে ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডে’র কার্যালয় সিল করে দিল ইডি। পূর্বানুমতি ছাড়া ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডে’র কার্যালয়টি খোলা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সঙ্গে জড়িত তহবিল তছরুপের অভিযোগের মামলার তদন্তেই এই পদক্ষেপ করা হল। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার পরিচালন সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ এখন ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডে’রই মালিকানাধীন। এই মামলার তদন্তের স্বার্থে এর আগে রাহুল ও সনিয়া গান্ধীকে জেরা করেছিল ইডি।
রাহুল গান্ধীকে ৫ দিন এবং সনিয়া গান্ধীকে ৩ দিন ধরে জেরা করে ইডি। তারপরই, মঙ্গলবার দিল্লিতে ন্যাশনাল হেরাল্ডের কার্যালয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটি। এই অভিযানের পর রাজরথে কংগ্রেস কর্মীদের তীব্র প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল। এদিনের নজিরবিহীন পদক্ষেপের পর যাতে ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য কংগ্রেস সদর দফতরের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সনিয়া গান্ধীর বাসভবন এলাকাতেও বিশাল সংখ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, “স্পেশাল ব্রাঞ্চ আমাদের জানিয়েছে, এআইসিসি কর্মী এবং সাধারণ জনতা এআইসিসির সদর দফতরের বাইরে এবং অন্যান্য এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারে। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমরা ব্যারিকেড দিয়েছি।”
এই বিষয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। তিনি লিখেছেন, “কংগ্রেসের সদর দফতরের রাস্তা আটকানো দিল্লি পুলিশের কাছে ব্যতিক্রম নয়, একটি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে! কেন তারা এমনটা করছে তা রহস্যজনক…।” মঙ্গলবার ন্যাশনাল হেরাল্ডের কার্যালয়ে ইডির অভিযাবন নিয়ে তিনি টুইটে লিখেছিলেন, “বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে অবস্থিত হেরাল্ড হাউসে অভিযান ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণেরই একটা অংশ। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিহিংসার রাজনীতির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আপনি আমাদের চুপ করাতে পারবেন না!”