চণ্ডীগঢ়: এক নিমেষেই বদলে গেল পরিচয়। প্রাক্তন ক্রিকেটার বা পঞ্জাবের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নন, শুক্রবার থেকে নভজ্যোৎ সিং সিধু(Navjot Singh Sidhu)-র নতুন পরিচয় কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩। চলতি সপ্তাহেই ৩৪ বছরের পুরনো একটি মামলায় কংগ্রেস নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়। শুক্রবারই আত্মসমর্পণের কথা ছিল সিধুর। সকালে নানা টালবাহানা করলেও, শেষ অবধি বিকেলে তিনি পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপরই তাঁর ঠাঁই হয় পাতিয়ালা জেলের ৭ নম্বর ব্যারাকে।
৩৪ বছর আগে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি পেয়েছেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। গতকাল সকালে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য় অতিরিক্ত সময় চাইলেও, শেষে নিজেই বিকেল ৪টের পর পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই পুলিশের জিপে চাপিয়ে সিধুকে পাতিয়ালা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, জেলে সিধুর সঙ্গী হয়েছেন প্রতিপক্ষ শিরোমণি আকালি দলের নেতা বিক্রম সিং মাজিথা। চলতি বছরের শুরুতেই মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে একই সেলে থাকছেন না সিধু-মাজিথা।
জেলের নিয়ম অনুযায়ী ভোর সাড়ে পাঁচটায় বাকি কয়েদিদের সঙ্গেই ঘুম থেকে উঠতে হবে সিধুকে।
সকাল ৭টায় মিলবে চা-বিস্কুট।
সকাল সাড়ে ৮টায় প্রাতঃরাশ- মেনুতে থাকবে ৬টি রুটি, ডাল বা কোনও একটি সবজি।
এরপরই জেলের নানা কাজ করতে হয় কয়েদিদের।
মাঝে মধ্যাহ্নভোজ।
বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে কাজ শেষ করতে হয় কয়েদিদের।
সন্ধে ৬ টাতেই নৈশভোজ দিয়ে দেওয়া হয় কয়েদিদের। ৬টি রুটি, ডাল ও সবজি দেওয়া হয়।
সন্ধে ৭টায় কয়েদিদের নিজেদের ব্যারাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দৈনিক কাজের জন্য কয়েদিদের ৩০ থেকে ৯০ টাকা দেওয়া হয়। টাকার অঙ্ক ধার্য হয় কাজের ধরন ও বন্দির দক্ষতার উপরে।
প্রথম তিন মাস বন্দিদের বিনা পারিশ্রমিকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বন্দিরা দিনে আট ঘণ্টা কাজ করতে পারেন।