চণ্ডীগঢ় : আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি পদে ইস্তফা ফিরিয়ে নেবেন। সেই মতো এবার নিজের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। আজ চণ্ডীগঢ়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি আমার পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিয়েছি। যেদিন নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং ডিজিপির নতুন প্যানেল আসবে, সেদিন থেকে আমিও আমার অফিসের কাজ শুরু করব।
এর পাশাপাশি পঞ্জাব সরকার কর্তৃক অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং ডিজিপির নিয়োগের যে বিরোধিতা তিনি করে এসেছেন, তারও ব্যাখ্যা দেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, এপিএস দেওলকে অ্যাডভোকেট জেনারাল পদে নিয়োগ করায় কোনওদিনই সেভাবে মত ছিল না প্রদেশ সভাপতির। এপিএস দেওলকে নাকি ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু সিধু ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, এমন কিছুই হয়নি।
উল্লেখ্য ২৭ সেপ্টেম্বর পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে এপিএস দেওলকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পঞ্জাব সরকার। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে দেওলকে নিয়োগ করলেও তাতে মত ছিল না প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুর।
কিন্তু এবার হয়ত সেই দ্বন্দ্বে ইতি পড়তে চলেছে। সিধু জানালেন, চন্নির সঙ্গে তাঁর কোনও মতবিরোধ নেই। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আমার কোনও মতপার্থক্য নেই। আমি যা করি, পঞ্জাবের জন্যই করি।”
ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের নয়া দল ঘোষণার পরেই বৈঠকে বসেন পঞ্জাবের শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সনিয়া গান্ধীকে চিঠিতে অমরিন্দর লিখেছিলেন, একদল ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তাঁকে বুঝিয়েছেন যে রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা তাঁকে সমর্থন করেন না। তারপরেই কংগ্রেসের এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেস ছাড়ার পর রীতিমতো হুমকির সুরে অমরিন্দর জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর মন্ত্রিসভার যে সদস্য অবৈধ বালি উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত তিনি তাদের নাম প্রকাশ্যে আনবেন। এমনকী তিনি আরও জানিয়েছিলেন অনেক কংগ্রেস নেতাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি দল তৈরি করলে তারাও একে একে সেই দলে যোগ দেবেন। এরপরেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়, তড়িঘড়ি দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের একসঙ্গে থাকার বার্তা দেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি।
বৈঠকের পরে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রী চন্নিকে তার “সাহসী সিদ্ধান্তের” জন্য স্বাগত জানিয়েছেন। বিবৃতিতে, বিধানসভা অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন দলের বিধায়করা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্য দলের প্রধান নভজ্যোত সিং সিধু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে সিধু উপস্থিত থাকা এবং তারপর সিধুর সাংবাদিক বৈঠকে সাময়িক স্বস্তি কংগ্রেস শিবিরে। আগামি দিনে পঞ্জাবে রাজনীতি কোনদিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন : Chinese Journalist: ‘হয়ত আর বাঁচবে না’, জেলে ধুঁকছেন করোনা পরিস্থিতির খবর প্রকাশ করা সেই চিনা সাংবাদিক