চণ্ডীগড় : লালু প্রসাদ হোক কি আমাদের রাজ্যের শাসকদলের নেতারা… জেলের নামেই যেন হাসপাতালের টিকিট কাটা হয়ে যায় তাবড় সব রাজনৈতিক নেতাদের। এবার সেই দলে নাম লেখালেন পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। ১৯৮৮ সালের একটি খুনের মামলায় একদিন আগেই জেলে গিয়েছেন সিধু। আর এরই মধ্যে অসুস্থতার কারণে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। ১৯৮৮ সালের রোড রেজ মামলায় সিধুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো পাতিয়ালা কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জেলে যান সিধু। তবে জেলে যাওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় খাবার মুখে তোলেননি এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। এরপর সোমবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁকে পাতিয়ালার রজীন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে নভজ্যোত সিধুকে রজীন্দ্র হাসপাতালে আনার পর বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সমর্থসেখানেলে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন পঞ্জাব কংগ্রেস প্রধানকে ২০ মে স্থানীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করার পরে পাতিয়ালা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সিধুর বিশেষ কৌঁশলী এইচপিএস বর্মা জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে সিধু জেলে বিশেষ ডায়েটের আবেদন জানিয়েছেন। আইনজীবী জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকের একটি দল সিধুর শারীরিক পরীক্ষা করবে এই প্রেক্ষিতে। চিকিৎসকরা সিধুর বিশেষ ডায়েটের বিষয়টি দেখবেন। তারপর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাতিয়ালার আদালতের কাছে জমা দেবেন তাঁরা।
সিধুর আইনজীবীর দাবি, লিভারে সমস্যা হওয়ার কারণে সিধু চিনি ও ময়দা জাতীয় কোনও খাবার খেতে পারেন না। আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে তাঁর খাদ্যাভ্যাসে। আইনজীবী বলেন, ‘সিধু বেরি, পেঁপে, পেয়ারা, ডাবল-টোনড দুধ এবং ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট নেই এমন খাবার খেতে পারেন।’ ৫৮ বছর বয়সি কংগ্রেস নেতার এমবোলিজমের সমস্যায় ভুগছেন এবং লিভারের অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৫ সালে নভজ্যোত সিধু দিল্লির একটি হাসপাতালে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের (ডিভিটি) চিকিত্সা করিয়েছিলেন।