নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (CTN) আইন বা অন্য কোনও আইনের অধীনে, নিউজ ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি (NBDSA) সাংবিধানিক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান নয়। বরং এটি ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি এক স্বাধীন সংস্থা। তাই সিটিএন আইন অনুযায়ী কোনও পদক্ষেপ তারা করতে পারেন না। কেবল তাদের অন্তর্বর্তী নির্দেশনামার ভিত্তিতে তারা পদক্ষেপ করতে পারে।
এ বিষয়ে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র দেশের শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনে (এনবিডিএ) দেশের সমস্ত নিউড ব্রডকাস্টাররা নেই। এই সংস্থাকে ‘ট্রেডিং অর্গানাইজেশন’ অ্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩৯৪ নিউজ ব্রডকাস্টারদের মধ্যে মাত্র ৭১ জন রয়েছে এই সংস্থায়। কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস (অ্যামেন্ডমেন্ট) রুলস ২০২১ আইনের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নথিভুক্ত সংস্থা নয় এনবিডিএ।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় ওই সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সেখানে লেখা হয়েছে, “NBDA-র আচরণ প্রমাণ করে, এটি নিজেকে সংবাদ সম্প্রচারকারীদের কাছ থেকে ক্ষুব্ধ দর্শকদের অভিযোগ নিষ্পত্তির একমাত্র বেসরকারি ট্রাইব্যুনাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, যা স্বশাসিত এবং যে কোনও আইনগত দায়বদ্ধতার অধীনস্থ নয়।” নিউজ ব্রডকাস্টার্স ফেডারেশন (এনবিএফ) কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বলেও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্র। তা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মেনে চলে বলেও আদালতকে জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় জানানো হয়েছে, যে স্ব-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিকে সিটিএন নিয়মের অধীনে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনবিডিএ নথিভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেনি। প্রসঙ্গত, CTN (সংশোধিত) আইন ২০২১ অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি বিধিবদ্ধ কাঠামো প্রদান করে এবং স্বনিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিকে প্রোগ্রাম বা বিজ্ঞাপন কোড লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রচারকারীদের উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি আইনি স্থান দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিবেদনের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ বা তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করার জন্য কোনও শূন্যতা তৈরি হয়নি।