আহমেদাবাদ: অপারেশন প্রয়োগশালায় বড় সাফল্য। নারকোটিকস কন্ট্রোল বিউরো ও গুজরাট পুলিশের এটিএসের একটি যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক। গুজরাট ও রাজস্থান মিলিয়ে মাদক দ্রব্য তৈরির তিনটি ল্যাবে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ‘ম্যাও ম্যাও’ ড্রাগ (মেফেড্রোন) বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। পুলিশের কাছে গোপন সূত্র মারফত আগেভাগেই খবর ছিল। সেই মতো গুজরাট পুলিশের এটিএস ও এনসিবি-র একটি টিম যৌথভাবে হানা দেয়। অতর্কিত এই অভিযানে বেআইনি মাদক তৈরির ল্যাব চালানোর অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনাক্ত করা হয়েছে এই কালো কারবারের কিংপিনকেও। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই কিংপিনকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং জানাচ্ছেন, গুজরাট পুলিশ ও এনসিবি অনেকদিন ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল। গ্রাউন্ড লেভেলে একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে নজর রাখা হচ্ছিল গত তিন মাস ধরে। সেই নজরদারিতেই এই তিনটি মাদক তৈরির ল্যাবের সন্ধান মেলে। এনসিবির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “গুজরাট এবং রাজস্থানে মেফেড্রোন তৈরির ল্যাবগুলির বিষয়ে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়েছিল গুজরাট পুলিশের এটিস। সেই ল্যাবগুলি বন্ধ করতে গুজরাট পুলিশের এটিএস এবং এনসিবি হেডকোয়ার্টারের অপারেশন ইউনিটের একটি টিম যৌথ অভিযান চালিয়েছে।”
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে সব মিলিয়ে ১৪৯ কেজি ‘ম্যাও ম্যাও’ মাদক উদ্ধার হয়েছে এই অভিযানে। সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫০ কেজি এফেড্রিন ও ২০০ লিটার অ্যাসিটোন… যা এই মাদক তৈরির কাজে ব্যবহার হয়।