মুম্বই: কিছুতেই সঙ্কট কাটছে না মহারাষ্ট্রের উপর থেকে। বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডের শিবিরে বিধায়কদের ভিড় বাড়তেই আরও চাপে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের ভবিষ্যতও। সেই কারণেই শুক্রবার তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সূত্রের খবর, এনসিপি প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে বুঝিয়েছেন যে এই বিষয়টি নিয়ে যত বিরোধ, জলঘোলা হবে, ততই লজ্জায় পড়বে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার। আজ, শনিবার শিবসেনার জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকেই বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
শুক্রবারই দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি মাতোশ্রীতে যান এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার, ক্যাবিনেট মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল ও প্রফুল্ল পটেল। ওই বৈঠকেই বিদ্রোহী বিধায়কদর নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, শিবসেনার এই অন্তর্কলহ যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের নাম কলঙ্কিত হবে।
অজিত পাওয়ারও জানান যে, তারা শিবসেনার সঙ্গেই রয়েছেন। সরকার যাতে টিকে থাকে, তার সর্বসম্মত চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরে আজ দলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি আগেও বলেছি যে ক্ষমতা ব্যবহার করে আমি কিছুই করব না। যারা বলতেন যে মরে গেলেও শিবসেনা ছাড়বেন না, আজ তারাই পালিয়ে গিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ বিধায়করা শিবসেনাকে ভেঙে ফেলতে চান। আমি তো কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি যে মুখ্যমন্ত্রী হব। আমি বর্ষা বাংলো ছেড়ে দিয়েছি ওই কারণেই।”
একনাথ শিন্ডেকেও আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বালা সাহেব ঠাকরের মৃত্যুর পর ওনাকে দু’বার মন্ত্রী করা হয়েছে। ২০১২ সালের পর আমরা দুইবার মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসেছি, ওনাকে প্রতিবারই এমন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঝুলিতে রাখেন। ঠাকরের নাম বাদ রেখে দেখুন, রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারেন কিনা।”