NCPCR: নাটকীয় ভিডিয়ো, রাতের ট্রেনে হাতেনাতে ধরা পড়ল ‘শিশু পাচারকারী’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 01, 2023 | 9:11 PM

NCPCR chief Priyank Kanoongo catches child traffickers: কথায় বলে ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। এই প্রবাদবাক্যই সত্যি করে দেখালেন ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর (NCPCR)-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

NCPCR: নাটকীয় ভিডিয়ো, রাতের ট্রেনে হাতেনাতে ধরা পড়ল শিশু পাচারকারী
ট্রেন যাত্রায় সময় শিশু পাচারকারী ধরলেন এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো

Follow Us

নয়া দিল্লি: কথায় বলে ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। এই প্রবাদবাক্যই সত্যি করে দেখালেন ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর (NCPCR)-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। ৩০ মে রাতের ট্রেনে তিনি মধ্যপ্রদেশের কাটনি থেকে দিল্লিতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনে এক দম্পতির সঙ্গে এক কিশোরী মেয়েকে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। আর তারপর, চলন্ত ট্রেনেই তিনি হাতে নাতে ধরে ফেলেন দুই শিশু পাচারকারীকে। নাটকীয় এই ঘটনাটি ধরা পড়েছে মোবাইল ক্যামেরায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক পুরুষ ও মহিলা ট্রেনের লোয়ার বার্থে বসে আছেন। উল্টো আসনে হলুদ টিশার্ট পরে বসে আছেন এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সন। তিনি ওই পুরুষ ও মহিলার পরিচয় জানতে চান। তাদের সঙ্গে যে কিশোরী মেয়েটি ছিল, তার পরিচয়ও জানতে চাওয়া হয়। তাদের জবাবে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে থাকা মেয়েটি সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

পরে, এই ঘটনা সম্পর্কে প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানান, “একটি ১৫-১৬ বছর বয়সী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিল এক দম্পতি। তাদের দেখেই আমার সন্দেহ হয়েছিল। তাদের দেখে মনে হয়নি যে তারা ওই মেয়েটির বাবা-মা। তার প্রতি ওই দম্পতির আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। তাদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে দেখি আমার সন্দেহই ঠিক। আমরা দেখেছিলাম ওই পুরুষ ও মহিলা মেয়েটির বাবা-মা নয়। পরের স্টেশনটি ছিল মধ্য প্রদেশের সাগর। ট্রেন সেখানে পৌঁছনোর পর, আমি স্থানীয় পুলিশ ও চাইল্ড রাইটস কমিশনের কর্তাদের খবর দিয়েছিলাম। মেয়েটিকে চাইল্ড রাইটস কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত দুইজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।”


প্রিয়াঙ্ক কানুনগো আরও জানিয়েছেন, সাগরের চাইল্ড রাইটস কমিশন মেয়েটির কাউন্সেলিং করছে। এর ভিত্তিতে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। মেয়েটির বাড়ি ছত্তীসগড়ের বিলাসপুরে। আমরা তার বাড়ির একটি সোশ্যাল রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছি। যে কোনও নির্যাতিত শিশুর ক্ষেত্রেই সোশ্যাল রিপোর্ট তৈরি করে এনসিপিসিআর। বাড়িতে কী এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যার জেরে তাদের পাচার করার চেষ্টা করা হল, তা বিশদে খতিয়ে দেখে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট শিশুটিকে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর মতো অবস্থা রয়েছে কিনা, তাও যাচাই করা হয়। তার বাড়িক জীবনযাত্রা, সে বাড়িতে যথেষ্ট যত্নে থাকে কি না, সমস্ত দিকই দেখা হয়। এই রিপোর্টে অনুমোদন দেওয়া হলে, তবেই উদ্ধার করা শিশুদের বাড়িতে ফেরত পাঠায় এনসিপিসিআর।

Next Article