নয়া দিল্লি : আকাশ সীমা লঙ্ঘন ও চিনের তরফে উসকানির মাঝেই সামরিক পর্যায়ের বৈঠক সংঘটিত হল ভারত ও চিনের মধ্যে। পূর্ব লাদাখের চুশুল-মলডো সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দুই তরফে এই বৈঠক করা হয়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় এক মাস যাবৎ পূর্ব লাদাখের সীমান্তে আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে চিনা এয়ারক্র্যাফ্ট ঢুকে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরই বিশেষ পর্যায়ের সামরিক আলোচনায় বসেছে দুই দেশ। উল্লেখ্য, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকে ১০ কিলোমিটার অবধি দুই দেশের ফাইটার জেট উড়তে পারে। তা পেরোলেই আকাশ সীমা লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, ‘সামরিক পর্যায়ের এই বৈঠকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনা যুদ্ধবিমানের ক্রিয়াকলাপ নিয়ে আপত্তি তুলেছে ভারত। তাদের এই ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপ এড়িয়ে চলতেও বলা হয়েছে।’
এই সামরিক আলোচনায় হয়েছে দুই দেশের বায়ুসেনার মধ্যে। ভারতের তরফে এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এয়ার কমোডোর অমিত শর্মা। চিনের তরফেও সম পদমর্যাদার অফিসার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে বায়ুসেনার পাশাপাশি দুই দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একজন মেজর জেনেরাল-ব়্যাঙ্ক অফিসার এই বৈঠকে ছিলেন।
সম্প্রতি বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমাদের যখনই নজরে আসে যে কোনও চিনা যুদ্ধবিমান বা রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্র্যাফ্ট প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার একটু কাছাকাছি আসছে তখনই আমরা আমাদের যোদ্ধাদের সতর্ক করি। আমাদের এই সতর্কতার ফলে তারা কিছুটা নিরুৎসাহিত হয়।’ প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের পর থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারত-চিন চাপানোতর এখনও জারি রয়েছে। সেনাস্তরে একাধিকবার বৈঠকে বসেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।