NEET-UG তদন্তে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতারি!

Jun 27, 2024 | 4:10 PM

NEET-UG Row: নিট-ইউজি (NEET-UG) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তদন্তে প্রথম গ্রেফতার করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন), বিহারের পটনা থেকে মণীশ প্রকাশ এবং আশুতোষ কুমার নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই।

NEET-UG তদন্তে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতারি!
নিট-ইউজি মামলায় প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই
Image Credit source: Twitter

Follow Us

পটনা: নিট-ইউজি (NEET-UG) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তদন্তে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন), প্রথম গ্রেফতার করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। এদিন, বিহারের পটনা থেকে মণীশ প্রকাশ এবং আশুতোষ কুমার নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র কোথায় পড়বে পরীক্ষার্থীরা? তার জন্য একটি বাড়ি দিয়েছিল আশুতোষ। আর মনীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, সে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র জোগার করেছিল। সম্প্রতি এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই। এর আগে, বিহারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি চক্রের খোঁজ পেয়েছিল বিহার পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা।

এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল তারা। সলভার গ্যাং নামে প্রশ্ন ফাঁসের এক চক্রের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছিল তারা। সেখানে নিট-ইউজি-র কিছু পোড়া প্রশ্নপত্র পাওয়া গিয়েছিল। বিহার পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা জানিয়েছিল, নিট-ইউজি-র প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কুখ্যাত সঞ্জীব কুমার ওরফে লুটান মুখিয়া। পটনার এক সেফ হাউস থেকে পাওয়া একটি আংশিকভাবে পোড়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তারা এনটিএ-র রেফারেন্স প্রশ্নপত্রের মিল পেয়েছিল। তা থেকেই প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়েছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিল তারা। ‘ওয়েসিস’ নামে হাজারিবাগের এক বেসরকারি স্কুল থেকেই তারা এই প্রশ্নপত্র পেয়েছিল বলে দাবি করেছিল পুলিশ। বুধবার, ওয়েসিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। স্কুলের অধ্যক্ষ এহসানুল হককে জেরা করে তারা। তিনি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির জেলা সমন্বয়কারী পদেও ছিলেন।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ছিল যে বাক্সে, সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোলার কথা থাকলেও, সেটি তিনি ম্যানুয়ালি খুলেছিলেন। এহসানুল হকের দাবি, প্রশ্নপত্রের বাক্সটিতে যে ডিজিটাল লক ছিল, সেটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। তাই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আনলক হয়নি। এরপর, তিনি এনটিএকর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা তাঁকে একটি কাটার ব্যবহার করে বাক্সটি খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। পরীক্ষার আগে তিনি ওই বাক্স খোলেননি বলে দাবি করেছেন এহসানুল।

প্রসঙ্গত, নিট-ইউজি পরীক্ষার আগে, একটি বিশেষ বাক্সে প্রশ্নপত্র পাঠায় এনটি। সেই বাক্সে দুটি তালা থাকে – একটি ম্যানুয়াল। সেটি একটি চাবি এবং কাটার দিয়ে খুলতে হয়। অপরটি একটি ডিজিটাল লক। পরীক্ষার ৪৫ মিনিট আগে একটি বীপ শব্দ-সহ সেটির নিজে থেকে খুলে যায়। এই মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত বিহার পুলিশ যে সকল তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, সেগুলি তাদের কাছ থেকে নিয়েছে সিবিআই। বিহার পুলিশের হাতে গ্রেফতার ১৮ জনকেও নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে তারা।

Next Article