নয়া দিল্লি: ইজরায়েল ও হামাস বাহিনীর যুদ্ধের (Israel-Hamas war) একমাস অতিক্রান্ত। এখনও অবিরত রকেট-বর্ষণ, বোমা হামলা হয়ে চলেছে। সবচেয়ে করুণ অবস্থায় গাজায় বন্দিদের। এবার অসহায় পরিস্থিতি থেকে গাজায় বন্দিদের মুক্ত করতে ময়দানে নামল ভারত। গাজায় (Gaza) বন্দিদের অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাল ভারত। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে এদিন ফের ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
মানবিক দিক বিবেচনা করে একমাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে ইজরায়েল ও হামাস- দু-পক্ষের কাছেই আবেদন জানিয়েছে নয়া দিল্লি। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে অরিন্দম বাগচি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, আমরা ইজরায়েলের উপর ভয়ঙ্কর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সন্ত্রাসবাদে জিরো টলারেন্স এবং বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন,”আমরা গাজার মানবিক সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছি।” ইতিমধ্যে ভারতের তরফে গাজায় ৩৮ টন মানবিক ত্রাণ পাছানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করার প্রস্তাব নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু, ভারত সেই ভোটে অংশগ্রহণ করেনি। ফলে ভারতের অবস্থান নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। তার প্রেক্ষিতেই এদিন অরিন্দম বাগচি এই যুদ্ধে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। যদিও সপ্তাহ খানেক আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ভারত বরাবরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। তবে যুদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়। তিনি শান্তি স্থাপনের বার্তা দেন। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতনিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে, গত একমাস ধরে চলা ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। খাদ্য, ওষুধের পাশাপাশি জ্বালানি ও পানীয় জলের সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। জ্বালানির অভাবে একের পর এক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে, ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে চলেছে গাজার।