নয়া দিল্লি: ১ মার্চ বিস্ফোরণ হলেও রেইকি হয়ে গিয়েছিল জানুয়ারি মাসেই! বেঙ্গালুরু ক্য়াফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুক্রবারই দিঘার হোটেল থেকে মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা-কে গ্রেফতার করে এনআইএ। দিঘায় যে হোটেল আব্দুল ও মুসাভির তিনদিন ধরে থাকছিল, বৃহস্পতিবার সেই হোটেলেই উল্টোদিকের ঘরে ওঠে এনআইএ আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালে তাঁদের গ্রেফতার করে এনআইএ টিম।
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই আাব্দুল ও মুসাভির চেন্নাইয়ে এসেছিল। বেঙ্গালুরুতে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, তার পরিকল্পনা ও রেইকিও করেছিল। বোমা তৈরির জন্য তাঁরা স্থানীয় দোকান থেকেই নানা জিনিসপত্র কিনেছিল। তাঁদের হামলার প্যাটার্ন ছিল মেঙ্গালুরুতে কুকার বিস্ফোরণের মতোই। রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণেও ৯ ভোল্টের ব্যাটারি সহ আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল।
তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই আইসিস জঙ্গি শিবমোগা মডিউলের সদস্য। এই মডিউল প্রায় ধ্বংস হয়ে গেলেও কর্নেল নামে পরিচিত একজন মূল হ্যান্ডলার এখনও তদন্তকারী সংস্থার নাগালের বাইরে রয়েছে। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পরই তদন্তকারী সংস্থা শারিক, মেজর মুনির নামক মেঙ্গালুরুতে কুকার বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই হামলার সঙ্গে অনেকে জড়িত ছিল। তাদের অ্যাকাউন্ট ট্র্যাক করা হলেও, অভিযুক্তরা ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করায় এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করায় কোনও সূত্র মিলছিল না। পরে তদন্তের সময়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে ডাকা হয়েছিল, যিনি এই অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলে যাওয়া ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই প্রথমে মুসাভিরের নাম উঠে আসে। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত শিবমোগা মডিউলের জন্য কাজ করত এই মুসাভির। বিগত ৪ বছর ধরে তদন্তকারী সংস্থার র্যাডারে ছিল সে। সাজিবের মাথায়ও ৫ লাখ টাকা পুরস্কার রয়েছে। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এই সাজিবই। এরপর এ মামলায় আরও একজনের নাম আসে, তার নাম আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা।