মুম্বই: দীর্ঘ সময় ধরেই নজর ছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম গ্যাংয়ের উপরে। এবার তাঁর ডান হাত ছোটা শাকিলের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে সালিম কুরেশি নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসেই সালিম কুরেশিকে আটক করেছিল সন্ত্রাস দমন শাখা। মুম্বই ও থানে মিলিয়ে ২০ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও তাদের পুরো গ্যাংয়ের খোঁজে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এনআইএ দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়।
সালিম কুরেশি, যিনি সালিম ফ্রুট নামেও পরিচিত, তাঁকে জেরা করেই জানা গিয়েছিল যে পাকিস্তান থেকে বসেই ভারতে বড়সড় সন্ত্রাস হামলা চালানোর ছক কষেছিল দাউদ ইব্রাহিম। এই হামলা চালানোর জন্য একটি বিশেষ শাখাও গঠন করেছিলেন দাউদ। মূলত দেশের তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদদের নিশানা বানানোই তাদের পরিকল্পনা ছিল। পুলিশের এফআইআরেও উল্লেখ করা হয়েছে যে দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিল পাকিস্তান থেকে বসে ভারতে নাশকতার ছক কষছে।
এর আগে ইডি যখন সালিম কুরেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, সেই সময় অভিযুক্ত জানিয়েছিল যে পাকিস্তানের করাচিতে ক্লিফটন এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিল। ১৯৯৫-৯৬ সালেই ছোটা শাকিল ভারত ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং এরপর পাকিস্তান থেকেই যাবতীয় তোলাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করত। অভিযুক্ত কুরেশির দাবি, বর্তমানে তিনি ছোটা শাকিলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রাখলেও, ২০০৬ সাল অবধি তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হত আত্মীয় হিসাবেই। ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তিন-চারবার পাকিস্তানে ছোটা শাকিলের বাড়িতেও যায়। কিন্তু বেআইনি কার্যকলাপের বিষয়ে জানতে পেরেই তিনি ধীরে ধীরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
দাউদের সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি বলেই দাবি সালিম কুরেশির। তবে ছোটা শাকিল যে মুম্বইয়ে দাউদের যাবতীয় বেআইনি কার্যকলাপ পরিচালনা করত, সে বিষয়ে তিনি জানতেন। করাচির ওই এলাকায় ছোটা শাকিলের থাকার ব্য়বস্থাও খোদ দাউদই করিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি।