নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে অভিযান। কেরল সহ একাধিক রাজ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা PFI-এর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান চালায় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ ও ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ১০০-রও বেশি পিএফআই-র সদস্য ও তাদের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ টি রাজ্যের ৯৩ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের ধরা হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদে পিএফআই-এর অফিস। দিল্লির শাহিনবাগ থেকে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া-র ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পিএফআইয়ের প্রধান পারভেজ আহমেদকেও গ্রেফতার হয়েছে।
শুধুমাত্র ভিন রাজ্য়ে নয়, কলকাতাতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি ও এনআইএ। কলকাতার তিলজলায় গতকাল পিএফআইয়ের অফিসে তল্লাশি চালায় এনআইএ। সঙ্গে ছিল ইডির আধিকারিকরাও। সূত্রের খবর, তিলজলা রোড সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে থাকেন পিএফআই নেতা শেখ মুক্তার। তাঁর বাড়ি ও অফিসেই যৌথ তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য হাজির ছিল সিআরপিএফ-ও।
দেশজুড়ে এই তল্লাশি অভিযানের কারণ হিসাবে এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া একটি উগ্র মৌলবাদী সংগঠন। সন্ত্রাসবাদী ও হিংসাত্মক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিভিন্ন সংগঠনকে তারা টাকার জোগান দিত। এই তল্লাশি অভিযানের পরই পিএফআইকে কেন্দ্রের তরফেও নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
এনআইএ ও ইডির তরফে যে ১০৬ জন পিএফআই সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলেজ প্রফেসরের হাত কেটে নেওয়া, ভিন ধর্মে বিশ্বাসীদের ঠাণ্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা ও খুন, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক জোগাড় সহ একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তারা।
সম্প্রতিই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে পিএফআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। মধ্য প্রাচ্যের বিভি্ন দেশের মাধ্য়মেই হাওয়ালায় আর্থিক লেনদেন চলত বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কার্যকলাপে আর্থিক মদত দিতে এই টাকা ব্যবহার করা হত।