নয়া দিল্লি: সোমবার (২০ নভেম্বর), খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ। ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে না ওড়ার বিষয়ে হুমকি দিয়ে সম্প্রতি সে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল। সেই হুমকি ভিডিয়োর প্রেক্ষিতেই এদিন পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ। ৪ নভেম্বর এক ভিডিয়ো প্রকাশ করে পান্নুন দাবি করেছিল, নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করতে হবে। ১৯ নভেম্বর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার বিষয়ে হুমকি দিয়েছিল সে। ওই দিন এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানে যারা ভ্রমণ করবে, তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে বলেও সতর্ক করেছিল। ২০১৯ সাল থেকেই এনআইএ-র স্ক্যানারে রয়েছে পান্নুন। ওই বছরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করেছিল।
এদিন এক বিবৃতিতে এনআইএ বলেছে, পান্নুনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো, ফৌজদারি হুমকির অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া, বেআইনি সংগঠনের সদস্য হওয়া, বেআইনি কার্যকলাপে অংশ নেওয়া বা তাকে সমর্থন করা, সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে তহবিল প্রদান, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র বা ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা, সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা বা উস্কানি দেওয়া, সন্ত্রাসবাদী কাজের জন্য সদস্য নিয়োগ করার অভিযোগেও বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ-র কয়েকটি ধারাতেও পান্নুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও, তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া, পঞ্জাব এবং ভারতের অন্যান্য অংশে সন্ত্রাস ছড়ানোর মতো অভিযোগ ছিল।
৪ নভেম্বর ভিডিয়ো প্রকাশ করে শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পান্নুন বলেছিল, “আমরা শিখ জনগণকে ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে না ওঠার জন্য সতর্ক করছি। বিশ্বব্যাপী এয়ার ইন্ডির বিরুদ্ধে অবরোধ গড়ে তোলা হবে। ১৯ নভেম্বর, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠবেন না, না-হলে আপনার জীবন বিপন্ন হতে পারে।” এরপর ১০ অক্টোবর, পান্নুন জানিয়েছিলেন, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ভারতেও প্যালেস্তাইনের মতো ‘প্রতিক্রিয়া’ দেখা যেতে পারে বলে দাবি করে সে। সে বলেছিল, “পঞ্জাব থেকে প্যালেস্তাইন পর্যন্ত অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে মানুষ। এর থেকেই হিংসার জন্ম হয়।”