Nirmala Sitharaman on BSNL: ‘রক্তক্ষরণ হয়ে মরতে বসেছিল BSNL’, অর্থমন্ত্রীর দাবি, মোদী সরকার এসে কর্মীদের টাকা মিটিয়েছে

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 08, 2022 | 10:04 PM

Nirmala Sitharaman on BSNL: মোদী সরকারের আমলে বিএসএনএল মরে গিয়েছে, শিব সেনা সাংসদ এমন অভিযোগ জানাতেই জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী।

Follow Us

নয়া দিল্লি : রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের (BSNL) আর্থিক টানাপোড়েনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে আগেই। কর্মীদের ওপরও তার প্রভাব পড়েছে। সরকারের হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন এই সংস্থার এমন বেহাল দশা হল, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বুধবার সংসদে ফের সেই ইস্যু সামনে আসতেই সংস্থার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস তথা ইউপিএ সরকারকে দায়ী করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এ দিন শিব সেনা সাংসদ অরবিন্দ গণপত সাবন্ত এলআইসি, এয়ার ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন সংস্থার পরিনতি নিয়ে আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘বিএসএনএল তো আপনাদের নিজেদের সংস্থা। সেটাকে মেরে ফেললেন।’ সাংসদের এমন দাবিতে উত্তর দিতে ওঠেন অর্থমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আপনি ঠিক বলছেন না।’

কর্মসংস্থান ইস্যুতে সরব সাংসদ

এ দিন শিব সেনা সাংসদ একের পর এক ইস্যুতে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। বিশেষত কর্মসংস্থান ইস্যুতে তোপ দাগেন কেন্দ্রকে। তিনি দাবি করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আজ চাকরির স্থায়ীকরণ হয় না। সাংসদ বলেন, ‘কখনও ভেবে দেখেছেন ৬০ বছরের পর তাঁরা বাঁচবেন কী ভাবে?’ স্পাইস জেটে বন্ড শেষ হয়ে গিয়েছে বলে কী ভাবে বের করে দেওয়া হল অত মানুষকে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, করোনাকালে অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে, তাদের কথা ভাবেনি সরকার।

এয়ার ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গ তুলে সরকারকে একহাত নেন শিব সেনা সাংসদ। তিনি উল্লেখ করেন মুম্বই এয়ারপোর্ট আদানিরা নিয়ে নেওয়ার পর কর্মীদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংসদ বলেন, ‘আপনারা বাড়ি তৈরির কথা বলছেন, আর ওখানে কর্মীদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।’ এলআইসি-তে দীর্ঘ ৯ মাস কোনও চেয়ারম্যান নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘বিএসএনএল-কে মেরে ফেললেন?’

এরপরই বিএসএনএলের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। অরবিন্দ গণপত সাবন্ত বলেন, ‘বিএসএনএল তো আপনাদের সংস্থা। সেটাকে মেরে ফেললেন? দিল্লি বা মুম্বই এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখুন, নেটওয়ার্কই পাওয়া যায় না।’ আর এ কথা বলতেই জবাব দিতে উঠে দাঁড়ান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

নির্মলা সাংসদকে বলেন, ‘আমি জবাব দিতে বাধ্য় হলাম। সত্যি কথা বলছেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএসএনএলের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে ৪ জি কেনার টাকাও দেয়নি ইউপিএ সরকার। কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব ছিল না।’ মোদী সরকার এসে কর্মীদের সব টাকা মিটিয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এই সংস্থাকে। ২০১৯-এর শুরুতে কর্মীদের জন্য ৯০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলেও জানান নির্মলা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএনএল রক্তক্ষরণ হয়ে মরতে বসেছিল। আজ যখন সবাই ৫ জি কিনছে, তখন আমরা বিএসএনএল-কে ৪জি কেনার টাকা দিচ্ছি, কারণ আগের সরকার সেটাও দেয়নি।’ সাংসদকে নির্মলা বলেন, ‘আপনি এ ভাবে ভুল বোঝাবেন না।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

নয়া দিল্লি : রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের (BSNL) আর্থিক টানাপোড়েনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে আগেই। কর্মীদের ওপরও তার প্রভাব পড়েছে। সরকারের হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন এই সংস্থার এমন বেহাল দশা হল, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বুধবার সংসদে ফের সেই ইস্যু সামনে আসতেই সংস্থার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস তথা ইউপিএ সরকারকে দায়ী করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এ দিন শিব সেনা সাংসদ অরবিন্দ গণপত সাবন্ত এলআইসি, এয়ার ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন সংস্থার পরিনতি নিয়ে আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘বিএসএনএল তো আপনাদের নিজেদের সংস্থা। সেটাকে মেরে ফেললেন।’ সাংসদের এমন দাবিতে উত্তর দিতে ওঠেন অর্থমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আপনি ঠিক বলছেন না।’

কর্মসংস্থান ইস্যুতে সরব সাংসদ

এ দিন শিব সেনা সাংসদ একের পর এক ইস্যুতে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। বিশেষত কর্মসংস্থান ইস্যুতে তোপ দাগেন কেন্দ্রকে। তিনি দাবি করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আজ চাকরির স্থায়ীকরণ হয় না। সাংসদ বলেন, ‘কখনও ভেবে দেখেছেন ৬০ বছরের পর তাঁরা বাঁচবেন কী ভাবে?’ স্পাইস জেটে বন্ড শেষ হয়ে গিয়েছে বলে কী ভাবে বের করে দেওয়া হল অত মানুষকে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, করোনাকালে অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে, তাদের কথা ভাবেনি সরকার।

এয়ার ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গ তুলে সরকারকে একহাত নেন শিব সেনা সাংসদ। তিনি উল্লেখ করেন মুম্বই এয়ারপোর্ট আদানিরা নিয়ে নেওয়ার পর কর্মীদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংসদ বলেন, ‘আপনারা বাড়ি তৈরির কথা বলছেন, আর ওখানে কর্মীদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।’ এলআইসি-তে দীর্ঘ ৯ মাস কোনও চেয়ারম্যান নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘বিএসএনএল-কে মেরে ফেললেন?’

এরপরই বিএসএনএলের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। অরবিন্দ গণপত সাবন্ত বলেন, ‘বিএসএনএল তো আপনাদের সংস্থা। সেটাকে মেরে ফেললেন? দিল্লি বা মুম্বই এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখুন, নেটওয়ার্কই পাওয়া যায় না।’ আর এ কথা বলতেই জবাব দিতে উঠে দাঁড়ান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

নির্মলা সাংসদকে বলেন, ‘আমি জবাব দিতে বাধ্য় হলাম। সত্যি কথা বলছেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএসএনএলের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে ৪ জি কেনার টাকাও দেয়নি ইউপিএ সরকার। কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব ছিল না।’ মোদী সরকার এসে কর্মীদের সব টাকা মিটিয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এই সংস্থাকে। ২০১৯-এর শুরুতে কর্মীদের জন্য ৯০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলেও জানান নির্মলা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএনএল রক্তক্ষরণ হয়ে মরতে বসেছিল। আজ যখন সবাই ৫ জি কিনছে, তখন আমরা বিএসএনএল-কে ৪জি কেনার টাকা দিচ্ছি, কারণ আগের সরকার সেটাও দেয়নি।’ সাংসদকে নির্মলা বলেন, ‘আপনি এ ভাবে ভুল বোঝাবেন না।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article