‘বাংলাদেশিতে থিকথিক করছে বাংলা-বিহার-ঝাড়খণ্ড’, অবিলম্বে NRC চালুর দাবি নিশিকান্তর

নয়া দিল্লি: লোকসভায় দাঁড়িয়ে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন বা এনআরসি-র (NRC) পক্ষে জোরদার সওয়াল বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের (Nishikant Dubey)। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গিয়েছে বিহার, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গ। বদলে যাচ্ছে এই রাজ্যগুলির বিভিন্ন এলাকার চরিত্র। তাই, এই বাংলাদেশিদের ভারত-ছাড়া করতে, অবিলম্বে পূর্ব ভারতের এই তিন রাজ্যে এনআরসি চালু করতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি আক্রমণ […]

'বাংলাদেশিতে থিকথিক করছে বাংলা-বিহার-ঝাড়খণ্ড', অবিলম্বে NRC চালুর দাবি নিশিকান্তর
পূর্বের তিনল রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন নিশিকান্ত দুবে Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2023 | 7:37 PM

নয়া দিল্লি: লোকসভায় দাঁড়িয়ে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন বা এনআরসি-র (NRC) পক্ষে জোরদার সওয়াল বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের (Nishikant Dubey)। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গিয়েছে বিহার, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গ। বদলে যাচ্ছে এই রাজ্যগুলির বিভিন্ন এলাকার চরিত্র। তাই, এই বাংলাদেশিদের ভারত-ছাড়া করতে, অবিলম্বে পূর্ব ভারতের এই তিন রাজ্যে এনআরসি চালু করতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর অভিযোগ, সাংসদ থাকাকালীন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সমস্যা নিয়ে সংসদে নিয়মিত সরব হতেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, বাংলায় ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে অনুপ্রবেশের হার আরও বেড়েছে।

ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এদিন, লোকসভায় জিরো আওয়ার চলাকালীন, তিনি বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ডে এনআরসি চালু করার দাবি তোলেন। বিজেপি সাংসদের দাবি, ব্যাপক হারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জেরে ঝাড়খণ্ডে উপজাতি জনসংখ্যা কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, “সাংসদ হিসাবে গত ১৫ বছরে আমি সংসদে এই বিষয়টি অন্তত ১০০বার তুলেছি আমরা তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির কথা বলি। আমার রাজ্য ঝাড়খণ্ড একটি উপজাতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য হিসেবেই বিহার থেকে পৃথক হয়েছিল। ১৯৫১ সালে, ঝাড়খণ্ডে উপজাতি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ছিল ৩৬ শতাংশ। আজ তা কমে দাঁড়িয়েথে মাত্র ২৪ শতাংশে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, সারা দেশে আসন পুনর্বিন্যাস হয়েছে, কিন্তু, ঝাড়খণ্ড এমন একটি রাজ্য যেখানে ২০০৮ সালে আসন পুনর্বিন্যাস করা যায়নি। কারণ, তা করা হলে লোকসভায় ঝাড়খণ্ড থেকে উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা দাঁড়াত এক। আর বিধানসভায় উপজাতি আসন সংখ্যা কমে হত তিন।” দুবে বলেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ বাংলাদেশি উদ্বাস্তুরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিয়ে করছে। আর এর ফলে ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের অনেক অংশের মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। তবে বিষয়টি সাম্প্রদায়িক সমস্যা নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিশিকান্ত বলেন, “আজ পরিস্থিতি এমন যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এসে আদিবাসীদের সঙ্গে বিয়ে করছে। বিশেষ করে গোড্ডা, পাকুড়, সাহেবগঞ্জ, দেওঘর এবং জামতারার মতো জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। এটা কোনও হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নয়। প্রতিবেশী বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গেও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।”

এরপরই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “সাংসদ থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন, বাংলাদেশিদের জন্য বাংলার চরিত্র বদলে যাচ্ছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং কালিয়াচক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গিয়েছে। বিহারের কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়া এবং ভাগলপুরেও একই অবস্থা। বাংলাদেশিদের কারণে চরিত্র বদলে যাচ্ছে। ভারত সরকারের উচিত এনআরসি চালু করে সমস্ত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেওয়া।”