এলাহাবাদ: নিহারি হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করে দেওয়া হয় এ দিন। ২০০৫-২০০৬ সালে নয়ডায় গণহত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন সুরিন্দর কোলি ও মনিন্দর সিং পান্ডের। তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল ট্রায়াল কোর্ট। এ দিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে সেই রায় বাতিল করে দেওয়া হয়।
২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের নয়ডায় মনিন্দর সিং পান্ডেরের বাড়ির সামনের ড্রেন থেকে একটি কঙ্কালের খুলি উদ্ধার হয়। এরপরই গোটা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি ও আশেপাশের জায়গা থেকে একাধিক দেহাবশেষ উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায়, ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যেই একাধিক খুন করেছিল পান্ডের। হত্যাকাণ্ডে তাঁকে সাহায্য করেছিল বাড়ির পরিচারক সুরিন্দর কোলি। অভিযোগ, সুরিন্দর ও মনিন্দর শিশু ও যুবতীদের অপহরণ করে আনত। ধর্ষণ ও পরে তাদের খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিত। মোট ১১টি শিশু ও ৫ যুবতীকে খুন করেছিল এরা।
সিবিআই অভিযুক্ত সুরিন্দর কোলির বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, খুন ও প্রমাণ লোপাট করা সহ মোট ১৬টি অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মনিন্দর সিং পান্ডেরের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
নিম্ন আদালতের তরফে সুরিন্দর কোলি ও মনিন্দর সিং পান্ডেরকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। সুরিন্দরের বিরুদ্ধে হওয়া ১৬টি মামলার মধ্যে ১২টি মামলাতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফেও সেই সাজা বহাল রাখা হয়। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টও একই রায় দেয়। শীর্ষ আদালতের তরফে সেই সময় বলা হয়েছিল, “অভিযুক্তরা সিরিয়াল কিলার বলেই মনে হচ্ছে। এদের কোনও দয়া দেখানো উচিত নয়।”
মনিন্দর সিং দুটি মামলায় নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের সাজাকেই চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ দিন আদালতের তরফে তাদের সাজা খারিজ করে দেওয়া হয়।