পুনে: ভিআইপিদের গাড়িতে আর বাজবে না সাইরেন। রাস্তায় হাড়ির গর্নের বদলে শোনা যাবে বাঁশি, তবলা কিংবা শাঁখের সুরেলা শব্দ। খুব শিগগিরই ভারতে দেখা যেতে পারে এই দৃশ্য। শনিবার, পুনেতে চাঁদনি চক ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে এবং সাধারণ মানুষকে শব্দ দূষণের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এমনই পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। নীতীন গড়করি জানিয়েছেন, ভিআইপিদের গাড়িতে সাইরেন বাজা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। তিনি আরও জানান, হর্ন বা সাইরেনের শব্দদূষণ বন্ধ করতে তিনি, এই শব্দগুলির বদলে ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রের স্বস্তিদায়ক শব্দ চালু করতে চান। অর্থাৎ, বর্ন বাজালে বিরক্তিকর শব্দের বদলে শোনা যাবে যন্ত্রসঙ্গীতের মূর্চ্ছনা।
গড়করি বলেন, “শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভাগ্যবান, ভিআইপির গাড়িতে লাল বাতি লাগানো বন্ধ করতে পেরেছি। এখন, আমি ভিআইপি গাড়িতে সাইরেন বন্ধ করার পরিকল্পনা করছি। আমি একটি নীতি তৈরি করছি। হর্ন এবং সাইরেনের শব্দের বদলে বাঁশি, তবলা এবং শঙ্খের শব্দ বাজবে। আমি চাই মানুষ শব্দ দূষণ থেকে মুক্তি পাক। আর সেই লক্ষেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
শনিবার পুনেতে চাঁদনি চক মাল্টি-লেভেল ফ্লাইওভার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং অজিত পওয়ার। নীতীন গড়করি জানান, এই প্রকল্পে মোট ৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ১টি আন্ডারপাস চওড়া করা হয়েছে এবং ২টি নতুন আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। পুনে শহরে যানজটের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই চাঁদনি চক ফ্লাইওভার প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৬.৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু প্রকল্প নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৬৫ কোটি টাকা। শুধু পুনে শহর নয়, আশপাশের জেলাগুলির যানজটের সমস্যা দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রকল্প নির্মাণের কাজ শেষ হল।