নয়া দিল্লি: ফের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকরিকে। মঙ্গলবার (১৬ মে) দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় নিতিন গডকরীর নয়া দিল্লির বাসভবনে ফোন করে এই হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দিল্লি পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সোমবার সন্ধ্যায় নিতিন গডকরির বাসভবনে ফোন করেছিল। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না মন্ত্রী। তাঁর এক কর্মী ফোনটি ধরেছিলেন। ফোনের ওপাড়ে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। মন্ত্রীকে না পেয়ে তাঁর কর্মীর কাছেই মন্ত্রীর প্রাণনাশ করার হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি। দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরি ফোনে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের একটি দল মন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনে যায়। যে ব্যক্তি হুমকি দিয়েছে, তাঁর সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। দোষী যেই হোক, তাঁকে অবিলম্বে ধরা হবে।”
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার প্রাণনাশের হুমকি পেলেন নিতিন গডকরি। এর আগে জানুয়ারি মাসে মহারাষ্ট্রে তাঁর বাসভবন এবং কার্যালয় – দুই জায়গাতেই ফোন করে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই যাত্রায় কুখ্যাত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ১০ কোটি টাকা অর্থ না দেওয়া হলে, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে শাসানো হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নাগপুর পুলিশ জানতে পেরেছিল, যে ব্যক্তি ওই হুমকি ফোন করেছিল, সে কর্নাটকের বেলগাভির এক কারাগারে বন্দি ছিল। নাগপুর পুলিশের কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেছিলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরিকে জেল থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ফোন করেছিল এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার এবং খুনের আসামি জয়েশ কাঁথা। সে বেলগাভি জেলে বন্দি। জেলের ভিতর বেআইনিভাবে ফোন ব্যবহার করে নিতিন গডকরির অফিসে হুমকি দিয়েছিল সে।”
ভারতের সড়ক পরিকাঠামোর রূপান্তরে তাঁর উদ্যোগের জন্য সুপরিচিত নিতিন গড়করি। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র স্বভাবের বলেও তাঁর খ্যাতি রয়েছে। সোমবার, বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ভৈরঁ সিং শেখাওয়াতের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘পোস্টার এবং ব্যানার’ দিয়ে নির্বাচন জেতা যায় না। দেশ সেবার রাজনীতিই ভোটে জয়ী হয়। তিনি বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী নির্বাচনে কোনও পোস্টার-ব্যানার লাগাব না। কাউকে চা খাওয়াব না, বা, অন্য কিছু করব না। যারা আমাকে ভোট দিতে চায় তারা দেবে, যারা চায় না তারা দেবে না।” তবে তা সত্ত্বেও তাঁর জয়ের ব্যবধান এবার বাড়বে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।