নয়া দিল্লি: ভারতের ইতিহাসে রেল দুর্ঘটনার ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। একাধিক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যুর সাক্ষী দেশ। এবার রেল দুর্ঘটনা নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। কিন্তু তাঁর সেই তথ্য পরিবেশনের পর বিতর্ক শুরু হয় সংসদে।
শুক্রবার সংসদে রেলমন্ত্রী জানান, গত ২২ মাসে সারা দেশে রেল দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয়নি। পরিসংখ্যান দিয়ে রেলমন্ত্রী জানান, ২০১৯ সালের ২২ মার্চ শেষবার রেল দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যসভায় এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, “গত ৬ বছরে আমরা সুরক্ষার উপর আরও বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।”
আরও পড়ুন: কৃত্রিম নয়! মোদীর চোখের জল কতটা সত্যি ছিল, ব্যাখ্যা দিলেন আজাদ
মন্ত্রীর এই দাবিতে বিরোধী সাংসদরা হইচই শুরু করেন। তাঁদের পাল্টা দাবি, মহামারী জনিত কারণে ট্রেন চলাচলই তো বন্ধ ছিল, তাই দুর্ঘটনা ঘটেনি। জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়েকজন সদস্যের হয়ত এ কথা মনে নেই যে ট্রেন ২০২০ সালের মার্চের আগে চলেছিল এবং পরে এপ্রিল থেকে পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছিল। এখনও যে ৭০ শতাংশ পরিষেবা চালু রয়েছে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, সভায় উপস্থিত কয়েকজন সদস্যের স্মৃতি খুবই কম।
সামগ্রিক সুরক্ষা এবং বিশেষত ব্রিজ বাড়ানোর জন্য রেল মন্ত্রক আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কথা ভাবছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, “ভারতে ৩৪ হাজার ৬৬৫টি রেল ব্রিজ রয়েছে। যেগুলি ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো। তবে মন্ত্রীর দাবি, বর্ষার আগে ও পরে রেল ব্রিজগুলি পর্যবেক্ষণ করা হয়।”
এই ব্রিজগুলি নিরীক্ষণের জন্য রেল ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,“ড্রোন সেতুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সঠিক পদ্ধতি হবে না। তবে আমি সদস্যদের পরামর্শ স্বাগত জানাচ্ছি।”