নয়া দিল্লি: বাড়ির মেয়ের গর্ভপাতের জন্য হন্যে হয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ঘুরছিল পরিবার। কিন্তু, কোনও ডাক্তারই ওই নাবালিকার পরিচয় গোপন করে গর্ভপাতে (Abortion of Minor Girl) সম্মত হচ্ছিলেন না। অবশেষে গর্ভপাতের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। তাতেই হল সুরাহা। ১৪ বছরের এক নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। কিন্তু, গোপন রাখতে হবে নাবালিকার পরিচয়। এসেছে এই নির্দেশ।
সূত্রের খবর, বর্তমানে ১১ সপ্তাহের গর্ভবতী ওই নাবালিকা। নাবালিকার আইনজীবী অমিত মিশ্র জানিয়েছেন একটি সম্পর্ক রয়েছে ওই নাবালিকার। সেই সম্পর্কেই প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের পর গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। কিন্তু, গর্ভপাতের জন্য একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি। কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডাক্তার তার গর্ভপাতে রাজি ছিলেন না। এদিকে তার পরিবার চাইছিল মেয়ের নাম গোপন রেখেই করতে হবে গর্ভপাত। কিন্তু, ডাক্তাররা রাজি না হওয়ায় চিন্তা বাড়তে থাকে পরিবারের।
এরপরই তাঁরা আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। কোর্টে যান নাবালিকার মা। এই মামলার শুনানিতেই বড় রায় দিলেন বিচারপতি প্রতিভা এম সিং। সাফ জানিয়ে দিলেন গর্ভপাত করতে পারবে ওই নাবালিকা। যে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকেন্দ্র তার গর্ভপাত করবে তারা নাবালিকা ও তার পরিবারের পরিচয় সম্পূর্ণভাবে গোপন করবে। নিজেদের কাছে রাখবে একটি রিপোর্ট। এই রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের কথা মনে করায় দিল্লি হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট নাবালিকাদের জন্য মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (এমটিপি) আইনে বেশ কিছু নতুন সুবিধা যোগ করে। সেই আইন বলে কীভাবে পরিচয় গোপন রেখে গর্ভপাত করানো যেতে পারে এদিন সেই বিষয়টিই নতুন করে মনে করায় দিল্লি হাইকোর্ট। অবশেষে দিল্লির শীর্ষ আদালতের রায়ে স্বস্তি নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের।