নয়া দিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির জোট প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলল বিজেপি। বিজেপি জানিয়েছে, অতীতে এইচ ডি দেবগৌড়া অথবা ভিপি সিংয়ের স্বল্পমেয়াদি জোট সরকার তৈরি হলেও এই মুহূর্তে দেশে স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং কার্যকরী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “দেশের মানুষ জানেন দেবেগৌড়া, আইরে গুজরাল, ভিপি সিংয়ের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন দেশ উন্নয়ন ও যোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি স্থিতিশীল সরকার চায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের গৌরব ফিরিয়ে এনেছেন।”
সম্প্রতি বিহারে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে আরজেডি, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির হাত ধরেছেন নীতীশ কুমার। নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন নীতীশ। বিহারের এই রাজনৈতিক পালাবদলকে ‘ইতিবাচর লক্ষণ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব এবং তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিকল্প তৈরি হবে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ২০২৪ অনেক দূর বিরোধী দলগুলির মধ্যে এই ইতিমধ্যেই সমন্বয় ও বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট। এমনকী তাদের মধ্যে কোনও ঐক্যও নেই। আমরা দেখতে চাই বিরোধী দলগুলির মধ্যে কতটা বোঝাপড়া অটুট থাকে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন নীতীশ কুমার। নীতীশের অভিযোগ ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বিহারেও ‘মহারাষ্ট্র মডেল’ বাস্তাবয়নের চেষ্টা করা হচ্ছিল। যাবতীয় জল্পনা সত্য প্রমাণ করে লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ১০ অগস্ট অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস, হাম ও অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলিকেও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।