নয়া দিল্লি: শীতে জবুথবু বাংলা। তবে তার থেকেও বেশি ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করছে উত্তর ভারত (North India)। শৈত্যপ্রবাহ (Cold Wave) চলছে সেখানে, তাপমাত্রা শূন্যের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। এই চরম শৈত্যপ্রবাহ থেকে মুক্তিলাভের আশায় বসে রয়েছেন দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব সহ গোটা উত্তর ভারত। কিন্তু আশার খবর শোনাতে পারল না আবহাওয়া দফতর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে উত্তর ভারতে আরও পারাপতন হতে পারে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ হিমাঙ্কের নীচেও নেমে যেতে পারে। আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস চার ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্য়ে উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্য প্রবাহ প্রবাহিত হবে। এটি চরম পর্যায়ে পৌঁছবে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি। হালকা বৃষ্টির জেরে আগামী কয়েকদিন দিল্লিতে হিমাঙ্কের সমান তাপমাত্রা থেকে মুক্তি মিললেও, রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে শৈত্যপ্রবাহ জারি থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দিল্লি সহ উত্তর ভারতের তাপমাত্রার ওঠানামার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঘন কুয়াশা। তাপমাত্রা একক সংখ্যক ঘরে থাকলেও, কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ থাকবে নাকি শীতলতম দিন থাকবে, তা ঘন কুয়াশার উপরেই নির্ভর করে। টানা বিগত ১১ দিন ধরে দিল্লির তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি থাকায়, আবহাওয়াবিদদের অনুমান, চলতি বছরের শীতকাল একবিংশ শতাব্দীর শীতলতম মরশুম হতে পারে।
দিল্লিতে আগামী কয়েকদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি থাকবে। এরপরই নতুন করে উত্তুরে হাওয়ার প্রবেশের কারণে ফের তাপমাত্রার পতন হতে পারে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৩ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রির কাছাকাছি। আইএমডি-র বিজ্ঞানী আরকে জেনামানি জানান, এর আগে ২০০৬ সালেও তাপমাত্রার এমন পারাপতন হয়েছিল। সেই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। ২০১৩ সালেও এমন শীতলতম মরশুম দেখা গিয়েছিল। তিনি জানান, আগামী কয়েকদিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগঢ়, দিল্লি, উত্তর রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে আজ, ১২ জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও আগামী ১৪ তারিখ অবধি ভারী বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত হতে পারে।