নয়া দিল্লি: দীর্ঘ টালবাহানা, দফায় দফায় বৈঠকের পরও নাটকীয়ভাবে কংগ্রেসে যোগদানের প্রসঙ্গ থেকে সরে আসেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক দল তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই ভোটকুশলী। মঙ্গলবার প্রশান্তের রাজনীতিতে যোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নীতীশের দল জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত। যোগদানের পরই তাঁকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন নীতীশ কিন্তু। দল পরিচালনা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে দু’জনের মধ্য দূরত্ব তৈরি হতেই দল ছাড়েন প্রশান্ত। বেশ কয়েক বছরের দূরত্ব থাকার পর, সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে দেখা হয়েছিল। এদিন পটনাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নীতীশ, সেখানে তাঁকে প্রশান্তের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জেডিউ সভাপতি। কিন্ত সাংবাদিকরা আবারও এক প্রশ্ন তোলায় তিনি জানিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোর রাজনীতিতে নামলে তাঁর কিছুই করার নেই। তবে জল্পনা বাড়িয়ে নীতীশ মন্ত্রিসভার সদস্য তথা দলের নেতা জামা খান প্রশান্তের রাজনীতিতে যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তাঁকে আবার জেডিইউতে ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছেন। জামা খানের দাবি, প্রশান্ত জেডিইউতে ফিরে আসতে চাইলে নীতীশ তাঁকে গ্রহণ করে নেবেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, বিহার থেকে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “গণতন্ত্রে অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকারী হতে এবং জনগণের পক্ষে নীতি নির্ধারণে সহায়তা করার জন্যই আমি ১০ বছর কাজ করেছি। জনগণই আসল মালিক, জনগণকে সুশাসন দেওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। বিহার থেকেই এর সূচনা হবে।” প্রশান্তের এই টুইট দেখার পর, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোরের সঙ্গে মনে করছেন, আগামী দিনে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করতে পারেন, এবং বিহারের রাজনীতিতেই সেই দল আত্মপ্রকাশ করবে। তবে লালু প্রসাদের আরজেডি জানিয়েছে, প্রশান্ত নতুন কোনও দল তৈরি করলে, বিহারে তাঁর প্রভাব পড়বে, সেখানে শুধু তেজস্বী যাদবই চলবে। আগামী দিনে প্রশান্ত কিশোর কী পদক্ষেপ নেন, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।