Odisha news: বাস চালাতে-চালাতে হৃদরোগে আক্রান্ত, মৃত্যুর মুহূর্তেও ‘হিরো’-র মতো ৪৮ যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Oct 30, 2023 | 2:38 PM

Odisha bus driver: বাস চালাতে-চালাতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন সানা প্রধান। তারপর স্ট্রিয়ারিং ধরেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক কল্যাণাময়ী সেন্ধা জানান, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আর গাড়ি চালাতে পারবেন না।

Odisha news: বাস চালাতে-চালাতে হৃদরোগে আক্রান্ত, মৃত্যুর মুহূর্তেও হিরো-র মতো ৪৮ যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন
প্রতীকী ছবি।

Follow Us

ভুবনেশ্বর: পেশায় বাসচালক সানা প্রধান প্রতিদিনই ওড়িশার (Odisha) কান্ধামালের সারাগঢ় থেকে যাত্রীদের নিয়ে উদয়গিরি হয়ে ভুবনশ্বরে যাত্রীদের নিয়ে যান। সাধারণত রাতের দিকেই বাস চালান তিনি। গত শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু, শনিবার রাতে বাস চালাতে-চালাতে স্ট্রিয়ারিং ধরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন সানা প্রধান (Bus driver)। সেই মুহূর্তেও তিনি তাঁর কর্তব্য ভোলেননি। ভোলেননি তাঁর হাতে ঝুলছে ৪৮ যাত্রীর জীবন। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে যখন আর গাড়ি চালাতে পারবেন না বুঝতে পারেন, তখনও তৎপরতার সঙ্গে বড় দুর্ঘটনা এড়ান। বাসের নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে গেলেও বড় কোনও ঘটনা ঘটতে দেননি। কোনক্রমে বাসটি রাস্তার পাশে একটি দেওয়ালে ধাক্কা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কান্ধামাল জেলার পাবুরিয়া গ্রামের কাছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস চালাতে-চালাতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন সানা প্রধান। তারপর স্ট্রিয়ারিং ধরেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক কল্যাণাময়ী সেন্ধা জানান, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আর গাড়ি চালাতে পারবেন না। তাই অন্য গাড়ির সঙ্গে দুর্ঘটনা এড়াতে তিনি রাস্তার ধারে দেওয়ালের দিকে বাসটি নিয়ে যান। তারপর বাসটি দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং যাত্রীদের প্রাণ বাঁচে।

পাবুরিয়া গ্রামের কাছে দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে বাসটি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন স্ট্রিয়ারিংয়ের উপর মুখ থুবড়ে অচৈতন্য হয়ে গিয়েছেন সানা প্রধান। তড়িঘড়ি পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন। এরপর সানা প্রধানের দেহ ময়নাতদন্তের পর তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে,অন্য চালক এসে ওই বাসের যাত্রীদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। সানা প্রধান যে মৃত্যুর মুহূর্তেও তৎপরতার সঙ্গে দক্ষ চালকের ন্যায় ৪৮ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন, তা বলা বাহুল্য।

Next Article