ভুবনেশ্বর: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল। রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর আরও তথ্য খতিয়ে দেখে ওড়িশা সরকার জানাল, মৃতের সংখ্যা ২৮৮ জন। মঙ্গলবার টুইট করে এই সংখ্যা জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ২০৫ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এবং দেহগুলি পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর ৮৩ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে ওই দেহগুলিতে যাতে পচন না ধরে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরে বাহানাগা রেল স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরই একাধিক মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওড়িশা প্রশাসনের মুখ্যসচিব রেলকে জানিয়েছেন, আরও বেশ কিছু দেহ এদিন হাসপাতালে এসেছে। তাই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮৮।
এর আগেও মৃতের সংখ্যা ২৮৮ বলে জানা গিয়েছিল। পরে সোমবার সরকারের তরফে জানানো হয়, বেশ কিছু মৃতদেহ দুবার গোনা হয়েছে। আসলে মৃতের সংখ্যা ২৭৫। সেই সংখ্যা আবারও বেড়ে হল ২৮৮। এরাজ্যে গাইশালে অন্যতম বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৯ সালে। সেই ঘটনায় ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। করমণ্ডল দুর্ঘটনা ছাপিয়ে গেল সেই সংখ্যা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ভুবনেশ্বর এইমসের তরফে জানানো হয়েছে, এইমসে মোট ১২৩ জনের দেহ ছিল। তার মধ্যে ৭১টি হস্তান্তর করা হয়েছে অর্থাৎ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ৫২টি দেহ শনাক্ত করা যায়নি। বাকি হাসপাতালগুলি থেকেও সব মৃতদেহ এইমসে আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। বেশদিন ধরে সংরক্ষণ করার জন্য পারাদ্বীপ থেকে এইমসে বিশেষ কন্টেনারও আনা হয়েছে।