ভুবনেশ্বর: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে লক্ষাধিক ধরনের খাবার। নানা দেশের খাবার বিভিন্ন ধরনের। এমনকী, দেশের অন্দরেও এলাকা বা অঞ্চল ভিত্তিক বদলে যায় খাবারের ধরন ও স্বাদ। সম্প্রতিই অযোধ্যার হনুমানগঢ়হীর লাড্ডু পেয়েছিল জিআই ট্যাগ। এবার দেশের আরও একটি খাবার জিআই ট্যাগ পেল। তবে এই খাবার আর বাকি পাঁচটা খাবারের থেকে একটু ভিন্ন স্বাদের। জিআই ট্য়াগ পেল লাল পিপড়ের চাটনি (Red Ant Chutney)। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ (Mayurbhanj) জেলার আদিবাসীরা এই চাটনি খান। কেমন খেতে এই চাটনি? কীভাবেই বা তৈরি হয় জানেন?
বহু দশক ধরেই ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের আদিবাসীরা লাল পিপড়ে খান। প্রত্যন্ত জায়গা হওয়ায় ও আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে তাদের পুষ্টির অন্যতম উৎস হল এই পিপড়ে। আর পিপড়ের দিয়ে তৈরি অন্যতম জনপ্রিয় পদ হল লাল পিপড়ের চাটনি। গত ৪ জানুয়ারি ‘সিমলিপাল কাই চাটনি’-কে সরকারের তরফে জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ দেওয়া হয়। এই জিআই ট্যাগ দেওয়া হয় কোনও জায়গার বিশেষত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালেই ময়ূরভঞ্জ কাই সোশ্যাইটি লিমিটেডের তরফে লাল পিপড়ের চাটনি বা সিমলিপাল কাই চাটনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের জঙ্গল জুড়ে পাওয়া যায় লাল পিপড়ে। গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা দিয়েই বাসা তৈরি করে এই পিপড়েরা। স্থানীয় ভাষায় এই পিপড়েকে ‘কাই পিমপুডি’ বলা হয়। লাল পিপড়েকে ধরে তার সঙ্গে নানান মশলা মিশিয়ে বেটে চাটনি হিসাবে খান আদিবাসীরা। এই পিপড়ে অত্যন্ত পুষ্টিকর বলে মনে করা হয়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও কপার রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতস্থান পূরণ করারও গুণ রয়েছে।