নয়া দিল্লি: ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠল খোদ বিচারপতির বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তাঁর স্বামী তথা বিশিষ্ট আইনজীবী তদন্তে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তাঁরা একটি মামলা করেছিলেন। আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করেছিলেন তাঁরা। সেই মামলাতেই হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে। সোমবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট-এর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।
‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত করবে সিআইডি। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকেও মুখবন্ধ খামে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
মামলাকারী বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর আইনসঙ্গতভাবে সম্পত্তির অধিকার পেয়েছেন তিনি, কিন্তু তাঁর দাদা ও দাদার পরিবার তাঁকে ওই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, শুধু মৌখিকভাবে হুমকি দেওয়াই নয়, সম্পত্তির জন্য মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য বন্দি আছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। এরপরই আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন তিনি। বৃদ্ধার আত্মীয়দের হয়ে মামলা লড়ছিলেন হাইকোর্টের ওই আইনজীবী। শীর্ষ আদালতে বৃদ্ধার অভিযোগ, আইনজীবী তদন্তকারী সংস্থার ওপর চাপ দিয়ে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছেন।
বৃদ্ধার আরও অভিযোগ বিচারপতির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তদন্তকারী অফিসারকে। তাঁকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধার। তাঁর দাবি, ওই অভিযোগ ফৌজদারী মামলা হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। মামলাকারীদের দাবি, বিচারপতি ও আইনজীবীর হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত হোক, সেই সঙ্গে নিরাপত্তা দেওয়া হোক মামলাকারীর পরিবারকে। সোমবার শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।