কলম্বিয়া: দিল্লিতে বায়ুদূষণ (Air pollution) ‘গুরুতর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার ফলে ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, বর্তমানে দিল্লির বায়ুতে শ্বাস নেওয়া ৪০-৫০টি সিগারেট খাওয়ার সমান। তবে কেবল ফুসফুস নয়, মস্তিষ্কের উপরও বিশেষ প্রভাব ফেলে বায়ু দূষণ। মাত্র এক ঘণ্টাতেই মস্তিষ্কের (Brain) কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলে বায়ু দূষণ। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এলং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
মস্তিষ্কের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব নিয়ে ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সমীক্ষা রিপোর্টটি সম্প্রতি এনভারনমেন্টাল হেল্থ-এ প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মাত্র দু-ঘণ্টা ডিজেল-দূষণের সংস্পর্শ ব্রেনের কার্যকরী ক্ষমতা হ্রাস করে। কলম্বিয়া ও ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা প্রাপ্তবয়স্ক ২৫ জন সুস্থ ব্যক্তির উপর পরীক্ষা চালান। সেই পরীক্ষা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে, বায়ু দূষণ কীভাবে মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে।
এই সমীক্ষা রিপোর্টের সিনিয়ার গবেষক ড. চেরিস কার্লস্টেন বলেন, “অনেক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা ভাবতেন যে, মস্তিষ্ক হয়তো বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত। কিন্তু, এই সমীক্ষা রিপোর্টেই বিশ্বের মধ্যে প্রথমবার বায়ু দূষণ এবং ব্রেনের মধ্যে সংযোগের প্রমাণ তুলে ধরে।” অবসাদ থেকে ব্রেনে যে পরিবর্তনগুলি হয়, অত্যধিক দূষণের ফলেও সেটাই হয় বলে সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে। বায়ু দূষণের ফলে চিন্তা-ভাবনা ও কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন ড. জোদি গাওরিলুক। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রিত না হলে মানব স্বাস্থ্যের উপর চরম প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিনিয়ার গবেষক ড. চেরিস কার্লস্টেন। তাঁর কথায়, “বায়ু দূষণ হল মানব স্বাস্থ্যের উপর পরিবেশগত সবচেয়ে বড় হুমকি।”