ওয়াশিংটন: আজ, মঙ্গলবার ইজরায়েল (Israel) ও হামাস (Hamas)বাহিনীর মধ্যেকার যুদ্ধের একমাস পূর্ণ হল। এখনও দু-তরফে রকেট বর্ষণ, গোলাগুলি অব্যাহত। আর দু-পক্ষের যুদ্ধে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাধারণ নাগরিকের। বিশেষত, গাজার (Gaza) বাসিন্দারা না পাচ্ছে খাবার, না পাচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। চারদিকে কেবল গোলাগুলি, কান্নার আওয়াজ আর আতঙ্ক। ইতিমধ্যে দু-পক্ষের যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে কিছুটা নরম সুর শোনা গেল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর গলায়। গাজায় অপহৃতদের সাহায্যের জন্য কৌশলগত বিরতি দেওয়া নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার মানবিক কারণে গাজায় যুদ্ধের ‘কৌশলগত বিরতি’ এবং অপহৃতদের মুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েল সরকার এই ধরনের সম্ভাব্য অস্থায়ী বিরতির বিষয়ে আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। কিরবি আরও বলেন, “আমরা এই লড়াইয়ে অস্থায়ী এবং স্থানীয়ভাবে বিরতির জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখব।”
সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে খাদ্য, ওষুধ-সহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে কতকগুলি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর। মানবিক কারণেই যুদ্ধে সংক্ষিপ্ত বিরতি দেওয়ার জন্য হোয়াইট হাউস ইজরায়েলকে চাপ দিচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েল এই যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতি হবে না বলে গত সপ্তাহে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন। কিন্তু, এই যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্ব দুই মেরুতে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়ে আসছে আরবের দেশগুলি, অন্যদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সেই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।