নয়া দিল্লি: শেষ বয়সে এসে হাজতবাস করতে হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় চলতি সপ্তাহেই হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওম প্রকাশ চৌটালা(Om Prakash Chautala)-কে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির সিবিআই(CBI)-র বিশেষ আদালত। চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয় তাঁকে। পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও চৌটালার চারটি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। শুক্রবারই তাঁকে তিহার জেলে (Tihar Jail) পাঠানো হয়। বর্তমানে তিহার জেলের সবথেকে প্রবীণ বন্দি তিনিই।
বর্তমানে তিহার জেলে মোট ১৯ হাজার ৫৮৪ জন বন্দি রয়েছেন। ৮৭ বছর বয়সী চৌটালাই জেলের সবথেকে প্রবীণ বন্দি। তিহারের জেল আধিকারিক জানান, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বর্তমানে ২ নম্বর জেলে রয়েছেন। তিনি একা নন, তাঁর সেলে আরও দুইজন বন্দি রয়েছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁকে জেলে আনা হয়।
তিহার জেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলে বর্তমানে সাতজন বন্দি রয়েছেন যাঁদের বয়স ৮০-র উপরে। ৭০ থেকে ৮০-র মধ্যে মোট ৬৩ জন বন্দি রয়েছেন। চৌটালার জেলে যাওয়ার আগে বয়োজ্যেষ্ঠ বন্দি ছিলেন ৮৫ বছরের এক খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত অপরাধী। জানা গিয়েছে, বয়স ও স্বাস্থ্যের কারণে ওম প্রকাশ চৌটালাকেও আলাদা বিছানা দেওয়া হয়েছে। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, ৭০ বছরের উপরে যে সমস্ত বন্দিরাই রয়েছেন, তাঁদের সুবিধার জন্য আলাদাভাবে বিছানার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও তাঁদের বয়সজনিত কারণেই জেলের ফ্যাক্টরিগুলিতে কোনও কাজ দেওয়া হয় না।
জেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বয়সের কারণেই চৌটালাকে আলাদাভাবে বিছানা দেওয়া হবে। এছাড়া তাঁর দেখভালের জন্যও একজনকে রাখা হবে। তবে এই ব্যক্তি জেলের বাইরের কেউ হবে না, বন্দিদের মধ্যেই যাঁদের ব্যবহার ভাল, তাঁদের কাউকেই দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে। স্বেচ্ছায় এই কাজটি কে করবেন, তা ঠিক করে দেবেন জেলের সুপারিন্টেডেন্ট।
জেলবন্দিদের যাবতীয় কাজ নিজেদেরই করতে হয়। তবে যাঁরা বয়স্ক, তাঁদের কাজে সাহায্য করেন কমবয়সী বন্দিরা। ওম প্রকাশ চৌটালার জামাকাপড় কাচা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজও অন্য কেউ করে দেবেন। যেহেতু ওম প্রকাশ চৌটালার নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাই নিয়মিতই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে এবং গুরুতর কোনও কারণে অসুস্থ হলে বাইরে থেকে চিকিৎসক ডাকানো হবে। এছাড়া জেলের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ ডায়েটে রাখা হবে চৌটালাকে।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের প্রধান ওম প্রকাশ চৌটালা গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। জুনিয়র বেসিক টিচার্স নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে গিয়েছিলেন তিনি।