কাশ্মীর: ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতির (Jammu-Kashmir Situation)। সাধারণ মানুষই জঙ্গিদের নিশানা হয়ে উঠেছে। বিগত এক সপ্তাহেই জঙ্গিদের (Terrorist) গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩ জন। এই পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ঘন ঘন বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি উন্নতির জন্য এ বার কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানালেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। তিনি দাবি করেন যে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ একদিনও শান্তিতে কাটাতে পারছেন না।
বিগত কয়েক মাস ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি গতিবিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। কাশ্মীরী পণ্ডিত থেকে শুরু করে উপত্যকার সাধারণ মানুষ, জঙ্গিদের গুলি থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই। গত সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল,গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অরবিন্দ কুমার, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের প্রধান সামন্ত গোয়েল, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাতারাতি উপত্যকা থেকে ১৭৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লা বলেন, “এমন একদিনও কাটছে না, যেদিন ভয়ঙ্কর কোনও ঘটনা ঘটছে না। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। সরকারের উচিত দ্রুত কোনও পদক্ষেপ করা।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে উপত্যকার কী পরিস্থিতি, তা সকলের সামনেই রয়েছে। এমন একদিনও যাচ্ছে না, যেদিন নৃশংস কোনও ঘটনা ঘটছে না। সাধারণ মানুষ কঠিন সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। আমরা চাই এই পরিস্থিতির উন্নতি হোক। আর এর জন্য সরকারেরই উচিত কিছু করার।”
জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, নির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য করার কাজটি জাতীয় নির্বাচন কমিশনই নেবে। তাঁর দলের তরফে এখনও অবধি নির্বাচনের কোনও প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তরফে দিন ঘোষণা করা হলে, তারপরই প্রস্তুতি শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।