নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই যাত্রা শুরু করেছে একাধিক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আত্মপ্রকাশের সময় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রং ছিল নীল সাদা। এর পর কমলা ও সাদা রঙের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করে ভারতীয় রেল। দুই রঙের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কমলা রং নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, বিজেপি গেরুয়াকরণের অছিলায় এই রং হয়েছে বন্দে ভারতের। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি সাফ জানালেন বন্দে ভারতের কমলা রঙের পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। বদলে বিজ্ঞানসম্মত ভাবনা রয়েছে।
বন্দে ভারতের এই রঙের বিষয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, “মানুষের চোখে দুটি রং সবথেকে বেশি দৃশ্যমান হয়। তা হল হলুদ এবং কমলা। ইউরোপের প্রায় ৮০ শতাংশ ট্রেনের রং হয় কমলা বা কমলা ও হলুদের মিশ্রনে তৈরি।” তিনি আরও বলেছেন, “অনেক রং আছে যেগুলো হলুদ ও কমলার মতো উজ্জ্বল। যেমন রুপোলি। কিন্তু আমরা যদি মানুষের চোখের দৃশ্যমানতার বিষয়টি বিবেচনা করি, তাহলে এই দুই রংই শ্রেষ্ঠ।” এই কথা বলেই তিনি দাবি করেছেন, বন্দে ভারতের রঙের পিছনে কোনও রাজনীতি নেই, বদলে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত ভাবনা।
একই কারণে বিমান এবং জাহাজের ব্ল্যাকবক্সের রং কমলা করা হয় বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “উদ্ধারের জন্য লাইফ জ্যাকেট যা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ব্যবহার করে তাও কমলা রঙেরই হয়।” ভারতীয় রেলের কমলা রঙের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রথম যাত্রা শুরু করে কেরলে। কাসারগড় এবং তিরুঅনন্তপুরমের মধ্যে চলাচলকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কমলা রঙের। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে তা যাত্রা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন।